২০২২–২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে (Union Budget 2022) ডিজিটাল মুদ্রা আনা হবে বলে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Finance Minister Nirmala Sitaraman)। এই বিষয় নিয়েই কেন্দ্রকে নিশানা করলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। সুরজেওয়ালা অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনি জাতির উদ্দেশ্যে জানান, ক্রিপ্টোকারেন্সি কি এখন আইনসিদ্ধ? ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল না এনে আপনি এটা চালু করতে চাইছেন? এর রেগুলেটরের কী হল? ক্রিপ্টোকারেন্সি রেগুলেশনের কী হল? বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা কোথায়?’
অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশের পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মোদি সরকারকে (Modi Government) তোপ দেখে বলেন, “কেন্দ্রের জিরো সাম বাজেট! চাকরিজীবী, মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও বঞ্চিত, যুবক, যৌবন, কৃষক, এমএসএমই– এলে জন্য কিছুই নয়।”
আরও পড়ুন-‘খেলা হবে’ থেকে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, কী নেই ! ছেলের বিয়েতে অভিনব তত্ত্ব ছেলের বাড়ির
এই বাজেট শুধুমাত্র ধনীদের জন্য। বলেছেন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। তিনি বলেন, “বাজেট শুধু ধনীদের জন্য; গরীবদের জন্য কিছুই নেই। এটা অর্জুন ও দ্রোণাচার্যের বাজেট, একলব্যের নয়, (মহাভারত থেকে)। তারা (কেন্দ্র) ক্রিপ্টোকারেন্সিও উল্লেখ করেছে, যার কোনো আইন নেই, বা এটি নিয়ে আগে আলোচনাও হয়নি; বাজেট তাদের বন্ধুদের উপকার করছে।”
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, “কেন্দ্রের এই বাজেটে (Union Budget 2022) সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই। আরও ২৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে ‘আচ্ছে দিন’ আসার জন্য। ভারতের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সেই অর্থে কোনও ঘোষণাই করা হল না এই বাজেটে।”
আরও পড়ুন-২০২২ সালের বাজেট নিয়ে অমিত মিত্রর প্রতিক্রিয়া
বাজেট ২০২২ প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বলেন, “এই বাজেট কার জন্য? ১০ % ধনী মানুষের হাতে দেশের মোট সম্পদের ৭৫ শতাউ। নীচের দিকের ৬০ শতাংশ মানুষের হাতে ৫ শতাংশও নেই। বেকারত্ব, দারিদ্র, ক্ষুধা ক্রমশ বেড়েছে। কিন্তু তারপরেও এই অতিমারীতে যাঁরা সবথেকে বেশি লাভ করেছেন তাঁদের ওপর কর চাপবে না কেন?”