প্রতিবেদন : মাওবাদীদের লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক (Terrorist Blust) প্রাণ কাড়ল সাংবাদিকের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ওড়িশার কালাহান্ডিতে।
চলতি মাসের ১৬ ও ২৪ তারিখে ওড়িশায় বেশ কয়েকটি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। যথারীতি কালাহান্ডি জেলায় ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। শনিবার সকালে খবর মেলে কালাহান্ডি জেলার মদনপুর-রামপুর ব্লকের মোহনগিরি গ্রামে গ্রামবাসীদের ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছে মাওবাদীরা। এমনকী, ভোট বয়কটের কথা জানিয়ে গ্রামে তারা একাধিক পোস্টার সেঁটেছে। খবর সংগ্রহের জন্য শনিবার দুপুরে ওই গ্রামে যান সাংবাদিক রোহিত বিসওয়াল। জানা গিয়েছে, পোস্টারের ছবি তোলার জন্য রোহিত এগিয়ে যেতেই প্রবল বিস্ফোরণে (Terrorist Blust) উড়ে যান। ঘটনাস্থলেই ওই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়। রোহিত ‘ধরিত্রী’ নামে এক ওড়িয়া দৈনিক সংবাদপত্রে সাংবাদিক ছিলেন। কালাহান্ডির জেলা রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত ছিলেন ৪৩ বছরের রোহিত।
আরও পড়ুন – পুরভোটের পরেই নির্বাচন আইএন টিটিইউসি
কালাহান্ডির পুলিশ সুপার বিবেক এম শ্রবণা জানিয়েছেন, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটেছে। তাঁরাও জানতে পেরেছিলেন যে ওই এলাকায় ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য মানুষকে হুমকি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছে মাওবাদীরা। অভিজ্ঞতায় তাঁরা দেখেছেন, বেশিরভাগ সময় মাওবাদীরা পোস্টারের কাছে বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখে। সে জন্য যথেষ্ট সতর্কতা মেনে পোস্টারের কাছে যেতে হয়। শ্রবণা বলেন, খুব সম্ভবত ওই রিপোর্টার পোস্টারগুলির কাছে ছবি তুলতে গিয়েছিলেন। সে সময় মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরকে পা পড়ায় বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণেই সাংবাদিক রোহিতের মৃত্যু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে একটি মোটরসাইকেলের পাশেই পড়ে রয়েছে রোহিতের রক্তাক্ত দেহ। ওই মোটরসাইকেলে চড়েই রোহিত মোহনগিরি গ্রামে গিয়েছিলেন বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
রোহিতের মৃত্যুর খবর জানার পর তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মৃত সাংবাদিকের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত খুঁজে বের করতে।