প্রতিবেদন : শেষ ২৭ দিনের লড়াই। স্তব্ধ হল কোকিলকণ্ঠ। সুরলোকে পাড়ি দিলেন লতা মঙ্গেশকর। আর সুরসম্রাজ্ঞীর স্মৃতির মালায় জড়িয়ে রয়েছে কলকাতা।
আরও পড়ুন-শচীনের মুখে ‘আই’ শুনে আবেগ-বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন, ৮৩’র কাপ জয়ীদের জন্য টাকা তুলে দিয়েছিলেন লতা
মধ্য কলকাতার ১৬ নম্বর অক্রুর দত্ত লেনে বাড়ি বিখ্যাত সুরকার ভি বালসারার। সময়টা ছয়ের দশক। বিদ্যাপতি সিনেমার একটি গানের জন্য সুরকার বেছে নিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকরকে। তাঁর ডাকে কলকাতায় এসে ‘মেরে নয়না সাওয়ান ভাদো’ গানের রিহার্সাল হয়েছিল বালসারার ঘরে। রেকর্ডিংটা হত কয়েকটি বাড়ির পরেই হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানির স্টুডিওতে। গানের রিহার্সাল শুধু নয়। আড্ডাও হয়েছিল এই বাড়িতেই। তিনি নিজের হাতে একটি দুর্গা প্রতিমার ছবি এনে বসিয়েছিলেন। কলকাতায় এলে সেই ছবিতে পুজো করে বের হতেন। বিদ্যাপতি সিনেমার জন্য তিনি মাত্র এক টাকা প্রাপ্য হিসাবে নিয়েছিলেন।
কবেকার সেই বাদ্যযন্ত্রের উপর পড়েছে ধুলোর আস্তরণ। ঘরের দেওয়াল থেকে চুন সুরকিও খসে পড়ছে। প্রায় পাঁচ দশক ধরেই এই ঘরের দেওয়াল জুড়ে ছড়িয়ে আছে তাঁর স্মৃতি। বালসারা প্রয়াত হয়েছেন অনেক বছর আগেই। এবার চলে গেলেন লতাও।