প্রতিবেদন : করোনা মহামারীর মতো জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নামে ২০২০ সালে তৈরি করা হয়েছিল পিএম কেয়ার্স ফান্ড। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই ফান্ডে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা পড়ে। অথচ সেই তহবিল থেকে যৎসামান্য অর্থ এখনও পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে। এতদিন বিরোধীরা এই ফান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ফান্ডের টাকা বহু জরুরি জনস্বার্থের খাতে অব্যবহৃত পড়ে থাকার অভিযোগ উঠছিল। আর এবার কেন্দ্রীয় সরকারই স্বীকার করে নিল অভিযোগ। মহামারী তহবিলের এই টাকা খরচ হয়েছে যৎসামান্য। বেশিরভাগ টাকা পড়েই আছে।
আরও পড়ুন-ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে
পিএম কেয়ার্স ফান্ডের ওয়েবসাইটের অডিট স্টেটমেন্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে ১০ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যদিও তা থেকে খরচ হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য তহবিল থেকে মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। এছাড়া কোভিড চিকিৎসার জন্য খরচ করেছে ১৩৯২ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিদেশ থেকে এই তহবিলে জমা পড়েছে ৪৯৪.৯১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-কাঠগড়ায় এমসিকিউ
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মোকাবিলায় এই ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল। করোনাজনিত পরিস্থিতি জরুরি ভিত্তিতে মোকাবিলার জন্য এই ফান্ড তৈরির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। সর্বস্তরে আবেদন করেছিলেন মুক্তহস্তে দান করার জন্য। প্রথম থেকেই কেন্দ্রের এই তহবিল ঘিরে যথেষ্ট ধোঁয়াশা। এর আগে এই তহবিলের কোনও হিসাব পরীক্ষা হয়নি। টাকার হিসাব চেয়ে বিরোধীরা একাধিকবার সরব হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দেওয়াই হয়েছে।
সরকারের দাবি, পিএম কেয়ার্স ফান্ড একটি পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এটি কোনও সরকারি সংস্থা নয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও একাধিকবার বলেছিলেন, এই ফান্ডের জমাকৃত অর্থ থেকেই করোনার টিকা ও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে অডিট স্টেটমেন্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। ফান্ডে জমা পড়া টাকার সিংহভাগ অযথাই পড়ে রয়েছে।