নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : আইএএস ক্যাডার বিধি বদল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবং রাজ্যপাল ইস্যুতে এবার একমঞ্চে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার এই দুই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সহ অন্যান্য বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। এরপর দিল্লি প্রেসক্লাবে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিরোধী নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress), কংগ্রেস, সিপিআই, ডিএমকে নেতাদের পাশাপাশি ছিলেন প্রাক্তন আমলারাও। বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হল কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। বিরোধী নেতারা বলেন, এই মুহূর্তে দুটি ইস্যুতেই তাঁরা একজোট।
(১) কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস ক্যাডার বিধিতে বদল, (২) বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালদের আচরণ।
আইএএস ক্যাডার বিধি বদল করে রাজ্যগুলিকে চাপে রাখা এবং বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির রাজ্যপালদের ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় পরিকল্পিত আঘাত হানার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের আনা প্রস্তাবে ঐক্যবদ্ধ দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলি।
কেন্দ্রের অপচেষ্টার প্রতিবাদে তৃণমূলের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, ডিএমকে, সিপিআই, আম আদমি পার্টি, শিবসেনা, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি ও টিআরএস-এর মতো দলগুলি। মোট ১১টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের ২১ জন সাংসদ তৃণমূলের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। এছাড়া প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন ৩৮ জন প্রাক্তন আমলা এবং কূটনীতিক। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তাতে যদি কোনও সুরাহা না হয় তাহলে আমাদের এই বিরোধিতা সংসদের বাইরে এবং ভিতরে ধারাবাহিকভাবে চলবে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়, রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রাক্তন আমলা জহর সরকার ও দোলা সেন। ডিএমকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তিরুচি শিবা, সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বম। এছাড়া ছিলেন একাধিক প্রাক্তন আমলাও।
আরও পড়ুন – নেতাজি প্রসঙ্গে ফের সংসদে সরব তৃণমূল
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন হাইকমিশনার দেব মুখোপাধ্যায় জানান, দেশের এই রকম দুটি কঠিন পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজনৈতিক দল আজ এক জায়গায় হয়েছে। আশা করি এই রকম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হব। সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বমও জানান, দেশের স্বার্থে আজ আমরা একত্রিত। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারের বক্তব্য, রাজ্যপাল নিশ্চয়ই তাঁর পরিধির মধ্য থেকে কাজ করবেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি প্রতিদিন সকালে ট্যুইট করে রাজ্যকে অপদস্থ করবেন। রাজ্যপাল প্রতিদিন ট্যুইট করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানছেন বলে সরব হন ডিএমকের তিরুচি শিবাও।