গত রবিবার চলে গেছেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকে (Lata Mangeshkar)। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সঙ্গীতের জগতে রাজ করেছেন তিনি। মধুবালা থেকে মাধুরী দীক্ষিত, এমনকি তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও গান গেয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। বৃহস্পতিবার নাসিকের রামকুন্ডে তাঁর চিতাভস্ম বিসর্জন দেন ভাইপো আদিনাথ মঙ্গেশকর। ইতিমধ্যেই লতা মঙ্গেশকরের বায়োপিক তৈরির পরিকল্পনা শুরু করেছেন বলিউডের প্রথম সারির জনপ্রিয় তিন পরিচালক।
খুব ছোট থেকেই লতার জীবন ছিল কঠিন লড়াইয়ে ভরা। তাঁর ছোটবেলাটা খুব সুখকর ছিল না। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর মারা যাওয়ায় মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তাঁকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল। লতার পরিবারে তখন বিধবা মা আর ছোট ছোট ভাইবোন। তাদের দায়িত্ব এসে পড়ল ছোট্ট লতার (Lata Mangeshkar) ঘাড়ে। লতার হাতে একমাত্র ছিল গান। কিন্তু রোজগারের পরিমাণ বাড়াতে গিয়ে তিনি ফিল্মেও ঢুকেছিলেন। যদিও আটটি ছবিতে কাজ করেও সাফল্যের মুখ দেখেননি তিনি। এমনকী তাঁর জীবনের প্রথম গানও রিলিজ হয়নি। সেটিও বাদ গিয়েছিল ছবি থেকে। পরবর্তী কালের সুরসম্রাজ্ঞীর জীবনের সেই প্রথম গানটি ছিল– ‘নাচু ইয়া গদে’; একটি মারাঠি ছবির জন্য গানটি গেয়েছিলেন তিনি। তবে লতার বাবা এবং মা কেউই চাইতেন না যে, তাঁদের মেয়ে গানকে পেশা হিসেবে নিক বা গান গেয়ে রোজগার করুক। আগামী দিনে কালে কালে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী।
লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) জীবনযুদ্ধের গল্প বড়পর্দায় তুলে ধরতে চান ৩ জন পরিচালক। লতার বায়োপিক নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করেছেন রাকেশ ওম প্রকাশ মেহেরা (Rakeysh Omprakash Mehra), আনন্দ এল রাই (Anand L Rai) ও সঞ্জয় লীলা বনশালি (Sanjay Leela Bhansali)। এমনকি সঞ্জয় লীলা বনশালি তাঁর বায়োপিক নিয়ে গত দশ বছর ধরে রিসার্চ করছেন বলেও জানা গেছে। কিন্তু এখন সবই নির্ভর করছে মঙ্গেশকর পরিবারের সম্মতির উপরে। তবে পরিবার ঘনিষ্ঠের তরফে জানা যাচ্ছে, ‘লতাদিদি’র বায়োপিক নিয়ে উৎসাহী তাঁরা। লতার পরিবার চায়, বড়স্কেলে তৈরি হোক এই বায়োপিক। এবার দেখার শেষ অবধি কার চিত্রনাট্য মনে ধরে মঙ্গেশকর পরিবারের ? ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কাকে দেখা যাবে লতার চরিত্রে ? এক সাক্ষাৎকারে হেমা মালিনী লতার চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।