মালদহ : টেলিমেডিসিন পরিষেবায় ব্যাপক সাফল্য মালদহে। রাজ্যের ২২ টি জেলার মধ্যে প্রথম পাঁচটি জেলা হিসাবে টেলিমেডিসিন পরিষেবায় নাম উঠে এল মালদহের। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন মালদহের ডেপুটি সিএমওএইচ ডা: সব্যসাচী চক্রবর্তী।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে হুগলি। এরপরেই উত্তরবঙ্গের উত্তরদিনাজপুর , কোচবিহার, কালিংপং, মালদহ জেলা রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পর গত ২ আগস্ট রাজ্য টেলি-মেডিসিন পরিষেবা যার পোশাকি নাম “স্বাস্থ্য ইঙ্গিত” প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ওই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদী । গ্রামীণ স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগীদের চিকিৎসা পৌঁছে দিতেই এই প্রকল্প। টেলিমেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার রোগীদের আর কষ্ট করে ডাক্তার দেখাতে শহরে আসতে হবে না। নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় ফোনে বা অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন রোগী ও তাঁর পরিজনেরা । অনলাইনেই প্রেসক্রিপশনও পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি থেকে ।
মালদহ জেলায় ৬৩টি সাব সেন্টারে টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এই সাব-সেন্টারগুলিতে একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। এদিন ইংরেজবাজার ব্লকের নিমাসরাই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের টেলিমেডিসিন পরিষেবা নিতে। পাশাপাশি অনলাইনের চিকিৎসকেরা রোগীদের দেখছেন।
মালদহের ডেপুটি সিএমএইচ জানিয়েছেন, রাজ্যে মালদহ জেলা ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ প্রকল্পে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে রিপোর্টে এমনই তথ্য মিলেছে। ডা: সব্যসাচী চক্রবর্তী আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি সাব সেন্টারে রোগীদের জটিল রোগ ছাড়া পেশার, সুগার সহ রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে। জেলাজুড়ে এই পরিষেবা চালু হওয়াতে প্রচুর মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় আসছেন। এটা খুব ভালো দিক। আগামী দিনেও এই পরিষেবার মান ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ রাখা হবে।