প্রতিবেদন: ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে (Small Industries) আগামীদিনে দেশের মধ্যে এক নম্বর হবে বাংলা (West Bengal)। সেই লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত নীতি সংশোধন করে তা আরও সরল করা হয়েছে। বুধবার বিধানসভায় ধন্যবাদজ্ঞাপন ভাষণে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জোরকদমে কাজ শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এদিনের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলায় শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান। আমরা চাই শিল্পায়ন, কিন্তু ওরা চায় দুর্বৃত্তায়ন। আমরা শান্তি চাই, ওরা শান্তি চায় না। আমরা রাজ্যে লক্ষ লক্ষ কর্মসস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। এই কাজ আমরা করে দেখাব, আর সেই সঙ্গে বিজেপিকে দেশ থেকে বিদায় করব। দেউচা পাঁচামিতে আগামীদিনে এক লক্ষ লোকের চাকরি হবে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নতুন স্যান্ড মাইনিং আইটি পলিসি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। ৭২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে আড়াই হাজার একর জমির ওপর জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরী নামে ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ তৈরি করা হচ্ছে। এই টাউনশিপে প্রায় দেড় লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। তিনটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্রেইট করিডর তৈরি হচ্ছে। রাজারহাটে সিলিকন ভ্যালি গড়ে উঠছে। সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি তথ্যপ্রযুক্তি পেশাদারের চাকরি হবে। এর পাশাপাশি অশোকনগরে তেলের ভাণ্ডার পাওয়া গিয়েছে। সরকার ওদের সাহায্য করছে। অশোকনগরে ওএনজিসি বা অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কমিশন কাজ শুরু করেছে। তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। বন্দরের জন্য এক হাজার একরের বেশি জমির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বন্দর গড়ে উঠলে স্থানীয় ছেলেমেয়েরা ওখানে চাকরি পাবে। এর সঙ্গে রাজ্য জুড়ে পোলট্রি ও ডেয়ারি শিল্পকে বিশেষভাবে উৎসাহ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে বাংলা ডেয়ারি।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় নন্দীগ্রামে গুলি-চালানোর অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়