প্রতিবেদন : রঙের উৎসবে আবিরের রঙে হল বসন্ত বরণ। প্রভাতফেরিতে ফাগুনের আবাহন। করোনার কারণে দু’বছর পর মাস্ক সরিয়ে আবিরে রাঙা হল মুখ। লাল, নীল, হলুদের সমারোহ। দোল উৎসবে মাতোয়ারা বাংলা। রঙের উৎসবে মহানগরীতে কোথায় একটুকরো শান্তিনিকেতন, কোথাও আবার বৃন্দাবনের প্রতিচ্ছবি। মঙ্গলারতি দিয়ে দোল উৎসবের সূচনা, উষা কীর্তন গেয়ে মন্দির প্রদক্ষিণ হয় বেলুড় মঠে। ইসকনের মন্দিরে দোল খেলা হয় না। তাই মহাপ্রভুর চরণে আবির দিয়ে হয় রঙের উৎসবের সূচনা।
আরও পড়ুন – কাজের গতি দেখে টাকা বরাদ্দ হবে
দোলের উৎসবে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও চুটিয়ে উপভোগ করলেন। দোল খেলায় মাতলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। সল্টলেক সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে সল্টলেকের বিএফ পার্কে বসে রেন ডান্সের আসর। ডিজে-র তালে রং খেলায় মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। দোলের দিন অন্য মুডে তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। নেননি সরকারি গাড়ি। হেলমেট পরে দলীয় কর্মীর স্কুটারে চেপে গিরিশ পার্কের বাড়ি থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে গেলেন শোভাবাজারের জয় মিত্র স্ট্রিটে। সেখানে মন্দিরে পুজো দেন মন্ত্রী। এরপর স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে ওঠেন। কচিকাঁচাদের গানের সঙ্গে গলাও মেলান। দোলের দিন ঘরোয়াভাবে উদযাপন করলেন সাংসদ শান্তনু সেন। দমদমের সেভেন ট্যাঙ্কসে নিজের পাড়ায় কাউন্সিলর স্ত্রীকে নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মাতলেন আবির খেলায়।
আজ দোলের রঙিন দিনে শোভাবাজার যেন একটুকরো শান্তিনিকেতন। দোলের দিন মেয়ে ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক লাভলি মৈত্র। চলল আবির খেলা। শহরের পাড়ায় পাড়ায় হল রঙের উৎসব। কোথাও প্রভাতফেরি, কোথাও আবার রবীন্দ্রগানের অনুষ্ঠান। উত্তর কলকাতার মানিকতলায় এলাকাবাসীদের উৎসাহে বর্ণাঢ্যভাবে পালন করা হয় দিনটি। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন আবাসনে সকাল থেকেই রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হন বাসিন্দারা। নিউটাউনের এ ই ব্লকে বসন্তোৎসব পালন হয়। সন্তোষপুরের ত্রিকোণ পার্কের দোল উৎসবে মেতে ওঠেন আট থেকে আশি সকলেই। কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে দিয়ে প্রাণের উৎসব পালন করলেন মহানগরের বাসিন্দারা।