প্রতিবেদন : একটা সময় ছিল যখন মা-ঠাকুরমারা ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়ে শিশুদের (Children) ঘুম পাড়াতেন। সেই দিন গিয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। এখন আর শিশুরা রেডিও বা টেলিভিশনে গান শুনে ঘুমোতে যায় না। বরং এখন শিশুরা ঘুমোনোর আগে ব্যবহার করে স্মার্টফোন (Smartphone)। ঘুমোনো তো দূরের কথা, ফোন হাতে না পেলে শিশুরা শুতেই যায় না, এমনও অভিযোগ করেছেন অনেক অভিভাবক। অভিভাবকদের সেই অভিযোগ যে ভিত্তিহীন নয় তার প্রমাণ দিলেন কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স এবং আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajiv Chandrashekhar)। মন্ত্রী জানালেন, এই মুহূর্তে দেশের ২৩.৮ শতাংশ শিশু স্মার্টফোন হাতে পেলে তবেই ঘুমোতে যায়। অত্যাধিক স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে ৩৭.১৫ শতাংশ শিশুর মনঃসংযোগের সমস্যা দেখা দিয়েছে। করোনার কারণে প্রায় দু’বছর গোটা দেশে লকডাউন জারি হয়েছিল। এই লকডাউনের সময় শিশুদের ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের প্রতি কি আসক্তি বেড়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে চন্দ্রশেখর জানান, তাঁর মন্ত্রকের কাছে ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নেই। তবে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের (National Commission for Protection of Child Rights) এক সমীক্ষা রিপোর্ট মন্ত্রী সংসদে তুলে ধরেন। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশের ২৩.৮০ শতাংশ শিশু স্মার্টফোন নিয়ে তবেই বিছানায় শুতে যায়। এই অভ্যাস শিশুদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলেছে। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে ৩৭.১৫ শতাংশ শিশু অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। এর ফলে শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা তৈরি হচ্ছে। পড়াশোনার ক্ষেত্রেও শিশুরা অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত অলব্রাইট
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনাজনিত কারণে গত দু’বছর শিশুদের (Children) ঘরের বাইরে বিশেষ বের হতে দেননি অভিভাবকরা। পরিবর্তে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্মার্টফোন (Smartphone)। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্কুলের পড়াশোনার জন্য বাচ্চাদের হাতে মা-বাবা স্মার্টফোন দিতে বাধ্য হয়েছেন। আর সেখান থেকেই ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের প্রতি শিশুদের আসক্তি তৈরি হয়েছে। এই স্মার্টফোন আসক্তি শিশুদের অমনোযোগী করে তুলেছে। যা শিশুদের পড়াশোনা ও মানসিক বিকাশের সামনে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: দেশে নিষিদ্ধ ৩২০ মোবাইল অ্যাপ