দেবর্ষি মজুমদার, রামপুরহাট : বিধ্বস্ত এবং আতঙ্কগ্রস্ত বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘুরে যাওয়ার পরই দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। পূর্বপাড়ায় যেখানে পুলিশ পিকেট রয়েছে, তার অদূরেই শুক্রবার সকালে দেখা গেল বাড়িতে রান্না করছেন নুর বিবি। জানালেন, দিদির কথামতো প্রচুর পুলিশ আছে। বাড়ির সবাই ফিরেছে। আতাহার বিবির বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। এখন সেখানে আছেন শেখ লাল। মেয়ে সাজিনা বিবি পাশের গ্রাম কুমাড্ডায় শ্বশুরবাড়িতে। জানালেন, এখানে এসে মুখ্যমন্ত্রী যেমনটি বলে গিয়েছিলেন, সেভাবেই বাইরের চিকিৎসক দিয়ে মা নাজিমা বিবির চিকিৎসা চলছে। তাড়াতাড়ি সেরে উঠছেন মা। দিদিকে ধন্যবাদ। আরেকটু এগিয়ে লাল শেখ ও সাবিনা শেখের বাড়িতে বেলা একটার মধ্যে খাওয়াদাওয়া শেষ। টোটোচালক বাবর আলি সপরিবার ফিরেছেন। আরেকটু দূরে দুই সতীন সেলিমা ও জারিনা থাকেন। তাঁদের সন্তান রাকিবুল ও হাসিবুল দু-একদিনের মধ্যে ফিরবে সরষেচাষের কাজে। পশ্চিমপাড়া ও পূর্বপাড়ায় পুলিশি পাহারা রয়েছে। গোটা এলাকায় ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর মারগ্রাম থানার ছোট দাঙালপাড়া গ্রামের ক্যানেল পাড় থেকে একটি কচুবনের মধ্যে ছ’টি প্লাস্টিকের বালতিতে এবং জারে ৬০টিরও বেশি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – শিল্পে সাড়া জাগাবে রঘুনাথপুর
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বগটুই গ্রামে গিয়ে মানুষের অভিযোগ শুনেছেন, সেখানে দাঁড়িয়েই অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন, সেই সঙ্গে দুর্গত মানুষদের পুড়ে যাওয়া বাড়ি মেরামত এবং অন্য খরচ হিসাবে অর্থসাহায্যও দিয়েছেন। সেখানে মিহিলাল শেখ নিজে হাতে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে চেক গ্রহণ করেছিলেন। তবে ঘটনার দিন অনবধানে মৃতদের তালিকায় এই মিহিলালকে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত।