প্রতিবেদন : পাত্তাই দিল না বাংলা। ৪৮ ঘণ্টার বন্ধের প্রথম দিনই রাজ্যের মানুষ বুঝিয়ে দিলেন, কর্মনাশা আন্দোলনের নাটককে তাঁরা মোটেই বরদাস্ত করছেন না। তাই সোমবারের বন্ধ এককথায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কলকাতা মহানগরী-সহ রাজ্যের জনজীবন এদিন ছিল পুরোপুরি স্বাভাবিক। বন্ধের উদ্যোক্তারা অবশ্য অস্তিত্বরক্ষার জন্য মরিয়া। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক জায়গায় গোলমাল পাকিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের অপচেষ্টা চোখে পড়েছে। তবে পুলিশি তৎপরতা এবং সাধারণ মানুষের সক্রিয় প্রতিরোধে সুবিধে করতে পারেনি বামেরা।
আরও পড়ুন-নির্বাচনের প্রস্তুতি বুথে বুথে কর্মিসভা
আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা তৈরির চক্রান্ত ভেস্তে গিয়েছে তাদের। প্রশাসন ছিল আগাগোড়াই সজাগ। কলকাতা, শহরতলি তথা গোটা রাজ্যই সোমবার ছিল আর পাঁচটা কাজের দিনের মতোই স্বাভাবিক। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা, গতিতে কোনও অস্বাভাবিকতা চোখে পড়েনি। জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা রেখেছিল রাজ্য। তাই সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেছেন স্বচ্ছন্দেই। সরকারি-বেসরকারি অফিস-কাছারিতে উপস্থিতি ছিল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন-ক্ষয়ক্ষতি বিপুল ফের শুরু শান্তি বৈঠক
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হয়েছে যথারীতি। শিল্পাঞ্চলগুলিতেও বন্ধের প্রভাব আদৌ চোখে পড়ল না। কলকাতা এবং রাজ্যের কয়েক জায়গায় শুধু চোখে পড়ল হাতেগোনা কিছু বাম কর্মীর গোলমাল পাকানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা। যাদবপুর, জয়নগর, দক্ষিণ বারাসত, বেলঘরিয়া, শ্যামনগর, কুলগাছিয়া, ডোমজুড়ে দফায় দফায় রেল অবরোধের চেষ্টা করেন বন্ধ সমর্থকরা। দমদমে মেট্রো স্টেশনের বাইরে পিকেটিং করেন বামেরা। কিন্তু ট্রেন বা মেট্রো চলাচলে আদৌ বিঘ্ন ঘটাতে পারেননি তাঁরা। যাদবপুর এবং কলেজ স্ট্রিটেও অশান্তি বাধানোর চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় পুলিশ।