প্রতিবেদন : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সংখ্যালঘু দফতরের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে চিঠি লিখে সেই দিনের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার উপাচার্যর ঘরে ঢুকে তাঁকে নিগ্রহের এই ঘটনা নেট মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে পুলিশ ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন পরিস্থিতির কথা জানিয়ে উপাচার্য গত নভেম্বর মাসেই পদত্যাগ করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-ডিজেলের সেঞ্চুরি ছয় জেলায়
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ পড়ুয়ার পিএইচডি-তে সুযোগ পাওয়া নিয়েই যাবতীয় ঝামেলার সূত্রপাত। গিয়াসুদ্দিন মণ্ডল ঘটনার দিন জনা ১৫-১৬ যুবককে নিয়ে বোর্ড রুমের বাইরে উপাচার্য মহম্মদ আলি মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। সেই ঘটনার ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হতেই রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঢেউ ওঠে। রবিবার পুলিশ উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনায় গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেফতারও করে। যদিও গিয়াসুদ্দিনের অনুগামীদের পাল্টা অভিযোগ, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত খোদ উপাচার্য। তিনিই পাঁচ পড়ুয়াকে অনৈতিক ভাবে পিএইচডি-তে সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন বটে, কিন্তু প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছিলেন অনেক আগেই।
আরও পড়ুন-নিউটাউনে পঞ্চবটি-পোষণ পার্ক
এ নিয়েই তারা ‘প্রতিবাদ’ জানাতে উপাচার্যের ঘরে গিয়েছিল। যদিও তারা ভিডিও কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে এল তার কোনও জবাব দিতে পারেনি। অনেকেরই অনুমান, নিজের দাপট দেখাতে গিয়ে গিয়াসুদ্দিন নিজেই ওই ঘটনার ভিডিও তোলার পাশাপাশি তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেয়।