কৃষিতে বাংলায় আধুনিক প্রযুক্তি

Must read

মণীশ কীর্তনীয়া : কৃষিতে বাংলায় বিপ্লব। একদিকে নোনা জলে ধান ফলানো। পাশাপাশি উর্বর জমিতে একাধিক ফসলের উৎপাদন। চাষের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি-সহ একগুচ্ছ যুগান্তকারী পদক্ষেপে সামগ্রিক ভাবেই কৃষি ব্যবস্থা এগিয়ে গেল বেশ কয়েক ধাপ। কাস্টমস হায়ারিং সেন্টার, আধুনিক গুদাম, হিমঘর, জৈব সার ব্যবহার, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, সর্টিং ও গ্রিডিং সহ এই ধরনের একাধিক পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে রাজ্য কৃষি দফতর (West Bengal Government)। আর তাতেই এসেছে সাফল্য। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১০ কোটি টাকা খরচ করেছে কৃষি দফতর। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, বাংলায় কৃষিজমির আয়তন খুব বড় নয়। এখানে ধান সহ বছরে একাধিক সবজি চাষ করেন কৃষকরা। ফলে জমির উর্বরতার দিকেও নজর রাখতে হয়। আবার খেয়াল রাখতে হয় আর্থিকভাবে কৃষক যাতে ক্ষতির মুখে না পড়েন৷ সঙ্গে রয়েছে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা ও যথাযথ মজুত করার বিষয়টিও। এত কিছুর পরে তারপর লাভের মুখ দেখে কৃষক। তাই সরকারের (West Bengal Government) তরফে আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের তরফে বাংলার কৃষকদের যতটুকু এগিয়ে দেওয়া যায়। অত্যাধুনিক মেশিন আনাই শুধু নয়। চাষের জমিতে যথাযথ ভাবে মেশিন চালানোর জন্য হাতেকলমে ট্রেনিংও দেওয়া হয়েছে। এখন অনেক সময়ই প্রকৃতির রোষানলে পড়ে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। নষ্ট হয় জমির ধান, সবজি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কৃষকদের জন্য শস্যবিমার ব্যবস্থা করেছেন। এতে অনেকটাই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে বাংলার কৃষক। মহাজনী ঋণের জালে জড়িয়ে কৃষকের আত্মহত্যা বাংলায় হয় না। যা হয় উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সহ বাকি রাজ্যগুলিতে। এখন বাংলার কৃষকের লক্ষ্য ফলন বাড়ানো ও দুটো পয়সা লাভ করে সংসারে সকলের মুখে হাসি ফোটানো।

Latest article