মিথ্যে অভিযোগ তুলে বিরোধীরা বিভ্রান্ত করতে চাইছে, বাংলাদেশি ওষুধ সম্পূর্ণ বৈধ

ভারত সরকারের সংস্থা এইচএলএল লাইফ কেয়ার লিমিটেড ২০২১ সালের ৩০ মে এই ওষুধের কিছু অংশ পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে পাঠায়।

Must read

সংবাদদাতা, কাঁথি : কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশি ওষুধ বিতরণ নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ তুলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি জেলার বদনাম করার চেষ্টার তীব্র নিন্দা করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে ওষুধের লাগামছাড়া দাম বাড়াচ্ছে, সেখানে বিনামূল্যের সরকারি ওষুধ থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টার নিন্দা উঠেছে সর্বত্র। স্বাস্থ্য দফতর স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘কিছু লোক অহেতুক বিতর্ক বাধানোর চেষ্টা করেছিলেন।

আরও পড়ুন-ব্লু স্টারকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না ফেরান্দো

এই ওষুধগুলো বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক ভারত সরকারকে অনুদান হিসেবে দেয়। ভারত সরকারের সংস্থা এইচএলএল লাইফ কেয়ার লিমিটেড ২০২১ সালের ৩০ মে এই ওষুধের কিছু অংশ পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে পাঠায়। এরপরে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর ২০২১ সালের ৬ ও ৭ জুন নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোরে পাঠায়। সেখান থেকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ওষুধ আসে। প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে এই ধরনের মানবিক আদান-প্রদান বিশেষ করে ইয়াসের মতো জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলায় নতুন কিছু নয়।

আরও পড়ুন-আরসিবি ড্রেসিংরুমে ফাফকে, সবাই শ্রদ্ধা করে : ম্যাক্সওয়েল

কেন্দ্র, রাজ্য ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা— প্রত্যেকের কাছেই এই ওষুধ সংক্রান্ত নথিপত্র আছে। তাতে ওষুধের নাম, ব্যাচ নম্বর, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ, সরবরাহের তারিখ ইত্যাদির স্পষ্ট উল্লেখ আছে। ওষুধগুলো নিয়ে এবং রোগীকে দিয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও অপরাধ করেনি।’ এই সরবরাহের প্রতিটি স্তরে দক্ষ অভিজ্ঞ ফার্মাসিস্টরা কাজ করেন। অকারণে তাঁদের বদনাম করার চেষ্টা অমানবিক। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ওষুধ নিয়ে কোনও কোনও মহল আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তা ঠিক নয়। সরকারি হাসপাতাল থেকে কোনও অবৈধ ওষুধ দেওয়া হয়নি।’’

Latest article