সংবাদদাতা, হাঁসখালি : হাঁসখালি-কাণ্ডে অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রভাকর নামে আরও এক যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, রং দেখা হবে না। দোষীরা শাস্তি পাবেই। মৃত নাবালিকার পরিবারের পাশে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় নেতৃত্বও।
আরও পড়ুন-ইস্টবেঙ্গলকে স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দিল শ্রী সিমেন্ট
এদিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। দেখা করার পর সাংবাদিকদের জানালেন, ‘‘এটা উত্তরপ্রদেশ নয়। এটা মধ্যপ্রদেশও নয়। দুষ্কৃতীর যা শাস্তি হওয়ার পকসো আইনে তা হবেই। সরকারের গ্যারান্টি, আমাদের গ্যারান্টি, দোষীকে শাস্তি দেওয়ার।’’ ইতিমধ্যেই হাঁসখালি-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ও তার এক বন্ধু গ্রেফতার হয়েছে। আরও যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন মহিলা-শিশু সুরক্ষা কমিশন তদন্ত করুক। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন মহিলা-শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তীও। এটাকে একটা পকসো কেস বলে জানিয়ে পুলিশ যেভাবে তদন্ত করছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। যে শ্মশানে নাবালিকাকে দাহ করা হয়েছিল, সেখানেও যান।
আরও পড়ুন-উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৩০ কোটির সংশোধনাগার
সাংসদ মহুয়া বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ইনভেস্টিগেশন চলছে। নাবালিকার মৃত্যু খুব দুঃখজনক। দুষ্কৃতী ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি বলব, এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক পরিচয় ইম্পর্টেন্ট নয়। অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়াই হবে মূল লক্ষ্য। পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই সমস্ত দোষী ধরা পড়বে এবং শাস্তি পাবে।’’