মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম: বুধবার লালগড়ে (Lalgarh) ছিল শিকারের নির্দিষ্ট দিন। কিন্তু জঙ্গলে ঢুকে শিকার করা যাবে না বলে কয়েকদিন ধরেই মাইক আর লিফলেট দিয়ে প্রচার করায় শিকারিদের সংখ্যা ছিল কম। যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের অধিকাংশকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠাল প্রশাসন। সকাল থেকেই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ ও বনবিভাগ। তাদের যৌথ বাহিনী লালগড় ঢোকার বিভিন্ন পথে পাহারায় ছিল। জঙ্গলের ভিতরেও বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল কড়া নজরদারি। বন্যপ্রাণ শিকারের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারের জন্য এবার লালগড়ে শিকারে আসা শিকারিদের সংখ্যা ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। গাড়ি বোঝাই হয়ে শিকারিরা এবার আসতে পারেননি। কারণ বিনপুরের মালাবতী, দহিজুড়ি, বেলাটিকরি, রামগড়-সারেঙ্গা রোড, লালগড়-গোয়ালতোড় রোড, ধেড়ুয়া, ভীমপুর ইত্যাদি জায়গায় বনকর্মী-পুলিশ যৌথবাহিনীর টহল ও কড়া পাহারা ছিল। পাশাপাশি বনবিভাগের গাড়িতে শিকার ও জঙ্গল ধ্বংস-বিরোধী টানা প্রচার চলে। মেদিনীপুরের এডিএফও, লালগড়-সহ (Lalgarh) পাঁচটি ফরেস্ট রেঞ্জের অফিসার, বনকর্মী ও লালগড়ের আইসি অরিন্দম ভট্টাচার্য-সহ পুলিশকর্মীরা ছিলেন। তাঁরা বুঝিয়ে শিকারিদের ফেরত পাঠান।