মুম্বই, ১৬ এপ্রিল : ব্রেবোর্নে শনিবার রাহুল-ঝড়ে হারিয়ে যাওয়ার আগে মুম্বইয়ের মতিগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন শ্যেন ওয়াটসন। তির ছিল পনেরো কোটির ইশান কিসানের দিকে। ওয়াটসন বলেছেন, নিলামে মুম্বইয়ের বাজেট ঈশান আর জোফ্রা আর্চারেই শেষ হয়ে গিয়েছিল! যে আর্চার এই বছর খেলবেন না। জেনেশুনেও অর্থ ব্যয়। এই দলের এমনই হওয়ার ছিল। ওয়াটসন নিলামের পরই এমন হবে জানতেন।
মুম্বই অবশ্য আবার হারল। আরও একটা ম্যাচ। আরও একটা হার। এবার লখনউয়ের কাছে ১৮ রানে। আধ ডজন হারের শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। ১৫তম আইপিএলে এখনও পয়েন্ট নেই রোহিতের দলের। ডাগআউটে উদ্বিগ্ন মুখে বসে থাকতে দেখা গেল মেন্টর শচীন রমেশ তেণ্ডুলকরকে। এছাড়া আর কিই-বা করার ছিল লিটল মাস্টারের।
আরও পড়ুন-আইপিএলে ফিরছে সমাপ্তি অনুষ্ঠান
কে এল রাহুল আইপিএলে তাঁর তিন নম্বর সেঞ্চুরি করে কড়া চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দিয়েছিলেন মুম্বইকে। এরপর ২০০ তাড়া করতে গেলে দুটো জিনিস দরকার ছিল। হিটম্যানের ব্যাটে বড় রান। আর ভাল একটা শুরু। যার কোনওটাই হয়নি। রোহিত ফিরলেন ৬ রানে। আর মুম্বই যখন সপ্তম ওভারে ঈশানকে (১৭ বলে ১৩) হারাল, বোর্ডে ৫৭-৩। এখান থেকে সূর্য (৩৭), ব্রেভিস (৩১), তিলক (২৬) আর পোলার্ড (২১ নট আউট) যে রান করলেন, সেটা রাহুলের দলকে টেক্কা দেওয়ার মতো ছিল না।
লখনউ সুপার জায়ান্টসে কুইন্টন ডি’কক, মণীশ পাণ্ডে, মার্কাস স্টয়নিসের মতো প্লেয়ার থাকলেও তাদের আসল লোক রাহুল। তিনি যেদিন খেলেন, সেদিন আর কাউকে চোখে পড়ে না। শনিবার সেরকমই একটা দিন ছিল ব্রেবোর্নে। আইপিএলে নিজের শততম ম্যাচে ৬০ বলে ১০৩ নট আউট থেকে লখনউ অধিনায়ক দলের রানকে তুলে নিয়ে গেলেন ১৯৯-৪-এ। বাটলারের পর এই আইপিএলে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
আরও পড়ুন-নিলামের ফল ভুগছে মুম্বই, দাবি ওয়াটসনের
ফ্যাবিয়েন অ্যালেনকে এদিন প্রথম নামাল মুম্বই। কিন্তু চার ওভারে ৪৬ রানে একটি উইকেট নিয়ে তিনি রাহুল কেন, কারও উপর প্রভাব ফেলতে পারেননি। অ্যালেনের থেকেও বেশি মার খেলেন টাইমাল মিলস। তাঁর অবদান তিন ওভারে ৫৪ রান। বুমরা চার ওভারে ২৪ রান দিয়েছেন। বোঝা যাচ্ছিল, লখনউয়ের স্ট্র্যাটেজি ছিল বুমরাকে খেলে বাকিদের ওড়াও। তবে উনাদকট (৪-০-৩২-২) বা মুরুগান অশ্বিন (৪-০-৩৩-১) নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। বিশেষ করে রাহুলের রুদ্রমূর্তির সামনে।
ডি’কককে (২৪) নিয়ে প্রথম উইকেটে ৫২ রান তোলেন রাহুল। পরের পার্টনারশিপ মণীশের (৩৮) সঙ্গে ৭২ রানের। রাহুলকে বাদ দিলে লখনউ ইনিংসে এই দু’জন কিছুটা রান করেছেন। তবে রাহুলের পাশে এসব কিছু নয়। লখনউ অধিনায়ক তাঁর ৬০ বলের ইনিংসে ন’টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৭১.৬৬। রোহিতের কথা মাথায় রেখেও বলতে হচ্ছে, লখনউয়ের জয় তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।