রাখি গড়াই বিষ্ণুপুর: রাজ্যের শিল্পমানচিত্র দ্রুত বদলে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পকে পাখির চোখ করেছেন। তারই জেরে বাংলায় বিনিয়োগ করতে আসছে বহু শিল্পগোষ্ঠী। এবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এল টাটা গোষ্ঠী। বিষ্ণুপুর দ্বারিকা রোহিত কারখানা কিনে নিল তারা। টাটাদের এই বিনিয়োগ খুবই উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বোঝাই যাচ্ছে, সিঙ্গুর পর্ব তাদের কাছে সুদূর অতীত। তারা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছে। নববর্ষের শুরুতেই তাই সুখবর রাজ্যবাসীর জন্য। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল দীর্ঘকাল বন্ধ পড়েছিল।
আরও পড়ুন-অক্সিজেনের সঙ্কট মেটাতে বরাদ্দ ৫৭ লক্ষ
শিল্পপতিদের বাংলায় নিয়ে এসে নতুনভাবে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ানো মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য। সেই প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিষ্ণুপুর বিধানসভার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ শিল্পপতিদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টাকে সফল করতে অবিরত যোগাযোগ রাখছেন টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে। এই কারখানাটি সম্প্রতি টাটা স্টিল মাইনিং লিমিটেড কিনে নিয়েছে। একঝাঁক নিরাপত্তা বাহিনীও পাঠিয়েছে। এলাকায় নতুনভাবে আবার কারখানা খুলবে, এটা ভেবেই এলাকাবাসী খুব খুশি। একটা সময় ছিল যখন কারখানার শ্রমিকদের আনাগোনায় এলাকার দোকানদার, ব্যবসায়ী সবার হাতে টাকাপয়সা ছিল। পরে পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রায় ২৫ বছর আগে দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল এলাকায় কয়েকশো একর জায়গায় এই শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছিল।
আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গের দুই জেলায় দুই নতুন সভানেত্রী, উত্তর দিনাজপুরে পম্পা
এখানে বেশ কয়েকটি কারখানা চলছিল এবং সরকারের তরফে জল, রাস্তা, বিদ্যুৎ-সহ সব কিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নিজস্ব এলাকা ছাড়াও ভিন রাজ্যের ও বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছিল। ভিন রাজ্যের মানুষেরা বিষ্ণুপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। পরে বাম প্রশাসনের নানা অসহযোগিতায় শিল্পে ভাটার টান আসে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়ার পর জমি অধিগ্রহণের শর্তাবলি সরলীকরণ করে। একাধিক শিল্পপতিদের এ রাজ্যে নিয়ে আসছে। তারই অঙ্গ হিসাবে আরও একটি কারখানা আরেক গোষ্ঠী নিয়েছে। তারাও কিছুদিনের মধ্যে এসে যাবে এবং ধীরে ধীরে সবক’টি কারখানা খুলে গেলে, মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নতি হবে। মহকুমা প্রশাসক অনুপকুমার দত্ত জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়েছেন। তাদের সবরকম প্রশাসনিক সহযোগিতা করা হবে।