জেপি নাড্ডার কাছে দিলীপ ঘোষ আবেদন করেছেন দলে একজন সিনিয়র পর্যবেক্ষক চাই, অভিভাবক চাই। সেই নিয়ে আজ, বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে নিজের অভিমত প্রকাশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও এটা প্রথম নয়, এর আগেও তিনি এই নিয়ে মুখ খুলেছেন।
আজ কুনাল বলেন, ‘এটা বিজেপির অভ্যন্তরীন বিষয়। দিলীপ ঘোষ নাড্ডা সাহেবের কাছে গিয়ে বলে এসেছেন বাংলায় দল চলছে না অপদার্থদের দিয়ে। এটা বিজেপির মুষল পর্ব। ক্ষমতার অপব্যবহার। কোন্দল এ মেতে আাছে বিজেপি।’
আরও পড়ুন-গো হত্যাকারী সন্দেহে ভোপালে দুই আদিবাসীকে পিটিয়ে খুন নিয়ে সরব সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস
তিনি আরও বলেন, ‘দিলীপবাবু রাজ্য সভাপতির পদ অধিগ্রহন করে নিয়েছেন। এসব ভাঙা কাঁচ জোড়া দেওয়ার মত। উনি বোঝাচ্ছেন আমি বড় নেতা সুকান্ত বাচ্চা ছেলে ও কি বলবে। কে আসবে আমি বলব। দিলীপ ঘোষ আবার সক্রিয় হয়েছে। সৌমিত্র খাঁ এখন যা বলছেন ২০২১ এর রেজাল্ট এর আগেও তাই বলেছেন। দিল্লির নেতা আসছেন মুখ দেখাতে যাবেন। পাট শিল্প এল কি না দেখতে হবে। বড় নেতা আসছেন ফলে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একটু পাশাপাশি বসো। হাসো।’
হিসেবে বলছে ভারতে ধনীতম রাজনৈতিক দল হল বিজেপি। সেই নিয়েও আজ মুখ খোলেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘ভারতের ধনীতম দল বিজেপি, রিপোর্ট এ প্রকাশিত। যা কর্পোরেট ডোনেশন আসছে তার ৮০শতাংশ পায় বিজেপি। শুভেন্দুই বলেছিল বিজেপি ৭ স্টার বিজেপি। বড় লোকের দল। তাই এসব লোক হাসানো ব্যাপার করছে বিজেপি।’
আরও পড়ুন-গুজরাটের দৌড় থামিয়ে দিল পাঞ্জাব
বিজেপি নেতাদের বার বার দিল্লি যাওয়া নিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘দিলীপ বাবু সভাপতির চেয়ার অধিগ্রণ করতে চাইছেন। বিজেপি চটুল রাজনীতি করছে। ওরা দিল্লি যায় শুধু এর ওর বিরুদ্ধে নালিশ করতে। তবে এখন দিলীপ ঘোষ এগিয়ে। আগামীকাল রাজ্য কমিটি ও জেলা সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলবেননেত্রী।’
কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বহরমপুরের ঘটনার ক্ষেত্রে একটা পার্থক্য রয়েছে। নোয়াপাড়ার ঘটনাটি প্রণয়ঘটিত ব্যাাপার। দমদমের ঘটনা মনে থাকবে। এমএলএ হোস্টেলে এমএলএ খুন। এর সঙ্গে বাড়ির সামনে খুন প্রেম ঘটিত খুুন অনেক পার্থক্য আছে। কোনটা রাজনীতির ঘটনা কোনটা পারসোনাল বুঝতে হবে। শুভেন্দু যে টুইট করেছেন তার পাল্টা আমি টুইট করেছি৷ ২০২০ সালে বলেছিলেন ২০১৬তে তিনি বিজেপির সভাপতির কাছে গিয়েছিলেন সেটা কি ছিল? লুকিয়ে গিয়েছিলেন। কয়দিন আগে শুভেন্দুরা তালডাংরায় গেলেন। ফিরে আসতে হল। খারাপ ঘটনা কমাবার চেষ্টা হচ্ছে। বাম জমানার থেকে ভালো পশ্চিমবঙ্গ।’
আরও পড়ুন-জমি দুর্নীতিতে গ্রেফতার সিপিএম ঘনিষ্ঠ ৫০, বামনেতা দ্বারস্থ তৃণমূলের
পাহাড়ে তৃণমূলের আধিপত্য নিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘পাহাড় বিজোপির হাত ছাড়া অঙ্গ। সেখামে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বনধ অশান্তি পেরিয়ে এখন শান্ত। অশান্ত করতে চাইছে।দূর্নীতি হলে আইন আইনের পথে চলবে।’
আরও পড়ুন-নিজেদের পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেই অভিযোগ বিজেপি সদস্যের আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি
সদ্য প্রকাশিত একটি খবর সূত্রে জানা গিয়েছে মোদি জমানায় ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মলিন ছবি উঠে এল আন্তর্জাতিক সমীক্ষা-চিত্রে। বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উদযাপন ৩ মে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের হাল শোচনীয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বডার্সের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের স্থান ১৪২ নম্বরে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভারত ১০০টি দেশের মধ্যেও নেই। এই প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘ভারতে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। গোটা পৃথিবীতে ভারতের পুখ পুড়েছে। সরকারের বিরোধীতা করলে সাংবাদিকদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। বিজেপি এটা করেছে। বাংলায় সে সমস্যা নেই।’