সংবাদদাতা, দিঘা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প দিঘায় জগন্নাথধাম নির্মাণের কাজ আরও এক ধাপ এগোল। মঙ্গলবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নারকেল ফাটিয়ে দিঘা রেল স্টেশন লাগোয়া ভোগীব্রহ্মপুর মৌজায় জগন্নাথ মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। পুরীর মন্দিরের আদলে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে হিটকোর তত্ত্বাবধানে ২৫ একর জায়গা জুড়ে প্রকল্পের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মন্দিরের নকশা ও রেপ্লিকাও চূড়ান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন-ধরা পড়ে মুখে কুলুপ সুশান্তর
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সমান উচ্চতার হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উচ্চতা। এই মন্দির নির্মাণ নিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত উৎসুক। এই প্রকল্পের জন্য তিনি ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন। ৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতার নেতাজি ইনডোরের প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন দ্রুত নির্মাণের। এমনকী মন্দির নির্মাণ শেষ হলে নিজে সেই মন্দিরে প্রথম পুজো দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। শিলান্যাসের পর মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হতে পারে।’
আরও পড়ুন-প্রবীণ, গুরুতর অসুস্থদের বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাচ্ছে পুরসভা
এই মন্দিরটি তৈরি হয়ে গেলে পর্যটন কেন্দ্র দিঘার চেহারা পুরোপুরি বদলে যাবে। সারা বছর দিঘায় পর্যটকসংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি রথযাত্রার সময় ৪ থেকে ৫ লক্ষ মানুষ এখানে জড়ো হবেন বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন ও দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ফলে হোটেল ও পরিকাঠামো বাড়াতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী প্রশাসন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, ‘এত মানুষ একসঙ্গে দিঘায় এলে কীভাবে থাকবেন, পরিবহণ, পার্কিং ব্যবস্থা কী হবে, কোথায় বাজার থাকবে এ বিষয়ে খড়গপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে একটি রূপরেখা তৈরি চলছে।’ রথযাত্রার সময় এই মন্দির থেকে জগন্নাথদেব যাবেন মাসির বাড়ি। সেই বাড়ি কোথায় হবে, তা নিয়ে আপাতত চিন্তাভাবনা চলছে।