ধরা পড়ে মুখে কুলুপ সুশান্তর

সুশান্তর হয়ে সওয়াল করতে কোনও আইনজীবীও ছিলেন না। অলকেশ পাল জামিনের জন্য সওয়াল করেন। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান বিচারক নীলাদ্রি নাথ

Must read

সংবাদদাতা, বহরমপুর : অনেক লোকের ভিড়ের মধ্যে একের পর এক কোপে এক তরুণীকে হত্যায় অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরিকে গ্রেফতার করতেই হতবাক আত্মীয়-প্রতিবেশীরা। ঘটনার পরই মুখে কুলুপ সুশান্তর। প্রশ্ন ঊঠছে, শুধুমাত্র সম্পর্কের অবনতি থেকেই এই নৃশংস খুন, নাকি পিছনে রয়েছে অন্য কিছু? সুশান্ত কি মনোরোগে আক্রান্ত? গ্রেফতার করতে কোনও বেগ পায়নি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কিছু খাচ্ছে না সে৷ স্নান পর্যন্ত করেনি।

আরও পড়ুন-প্রবীণ, গুরুতর অসুস্থদের বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাচ্ছে পুরসভা

জেরার সময় পুলিশের প্রশ্নেরও কোনও উত্তর না দিয়ে শুধু তাকিয়ে ছিল। একবারই বলে, ‘যা বলার ফেসবুক লাইভে বলব।’ প্রশ্নের উত্তর পেতে কাউন্সিলর নিয়োগের কথা ভাবছে পুলিশ। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিতি মালদহের সুশান্ত চৌধুরির। গৌর মহাবিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষে পড়ত সে। কিন্তু কী এমন ঘটল যে ঠান্ডা মাথায় ছক কষে বান্ধবী সুতপা চৌধুরিকে খুন করল সে? সুশান্তের ভাই সুরজিৎ বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলত না। মায়ের দিকেও হাঁসুয়া নিয়ে তেড়ে গিয়েছে দাদা।’

আরও পড়ুন-ভ্যাকসিন রেকর্ড পুরসভার

বাবা নিখিল চৌধুরি বলেন, ‘পুলিশের চাকরির সুবাদে অনেক অপরাধী দেখেছি। ছেলের কাণ্ড কিছুতেই বুঝতে পারছি না!’ গ্রেফতারের পর বহরমপুরে ফার্স্ট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলার সময় বাড়ির কেউ ছিল না। সুশান্তর হয়ে সওয়াল করতে কোনও আইনজীবীও ছিলেন না। অলকেশ পাল জামিনের জন্য সওয়াল করেন। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান বিচারক নীলাদ্রি নাথ

Latest article