সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : নোবেলের রেপ্লিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকলেও আসল নোবেল আজও অধরা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মদিনে নোবেল চুরি নিয়ে মনোবেদনা, আক্ষেপের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্তর সামনে আক্ষেপ জানিয়ে বলেছিলেন, সিবিআই চাইলে রাজ্য নোবেল উদ্ধারে তদন্তভার নিতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন-দিলীপের মুখে কুকথা
স্বপনবাবু-সহ বিশ্বভারতীর আশ্রমিকরা সেই সময় একবাক্যে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। যদিও সিবিআই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ফের সেই প্রসঙ্গ তোলার পর পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বংশধর সুপ্রিয় ঠাকুর থেকে অন্য আশ্রমিকরা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বলেন, নোবেল উদ্ধার হলে তার থেকে ভাল আর কিছু হয় না। প্রবীণ আশ্রমিক কালীপদ সিংহরায় বলেন, আসলে সিবিআই একটি রাজনৈতিক চাবিকাঠি। এটা দিয়ে অন্য দলকে ঘায়েল করা হয়। কিছুদিন অনুসন্ধানের পর নোবেল চুরির তদন্ত ক্লোজ করে দিয়েছে। বিশ্বভারতীর ছাত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্র সরকারের সংস্থাকে সবাই এত ভরসা করেছে। কিন্তু আঠারো বছর পেরিয়ে গেল, নোবেল তো উদ্ধার হয়ইনি, এই ঘটনায় কারা জড়িত সেটাও প্রমাণ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন-অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে উপাচার্য, বিশ্বভারতীতে কেলেঙ্কারি, জামিনে মুক্ত অধ্যাপকের সাসপেনশন প্রত্যাহার
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ সকালে জানা যায়, রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহশালা থেকে নোবেল-সহ ৫০টি মূল্যবান জিনিস চুরি গিয়েছে। ঘটনার ছ’দিনের মাথায় তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। প্রথম দফায় ২০০৭ সালের অগাস্টে তদন্ত গুটিয়ে নেয় তারা। পরে নতুন সূত্র মিলেছে বলে জানিয়ে ২০০৮-এর সেপ্টেম্বরে আদালতে পুনর্তদন্তের আবেদন জানায়। তাতেও তদন্তের অগ্রগতি হয়নি, এই যুক্তিতে ২০০৯-এর অগাস্টে ফের তদন্ত বন্ধ রাখার আবেদন করে। ২০১০-এর ৫ অগাস্ট আদালত অনুমতি দেয়। তখন সিবিআই জানিয়েছিল, নতুন কোনও সূত্র মিললে ফের তদন্ত শুরু করতে পারে তারা।