প্রতিবেদন : মহানগরীর নিকাশি ব্যবস্থার সাম্প্রতিক অবস্থার কথা জানিয়ে নবান্নে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাল কলকাতা পুরসভা। বিশেষ কিছু এলাকা চিহ্নিত করে সেখানকার নিকাশি সমস্যা এবং সমাধানের উপায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে রিপোর্টে। বর্ষায় মহানগরীর মানুষকে যাতে দুর্ভোগের মুখে না পড়তে হয়, তারজন্যই পুরসভার কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের নেতৃত্বে বিস্তারিত সমীক্ষা চালান ইঞ্জিনিয়ার এবং আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-অর্জুনের মায়ের বয়ান রেকর্ড হল লালবাজারে
এলাকায় এলাকায় ঘুরে খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। এরই ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করে তুলে দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হাতে। ‘কলকাতায় জমা জলের সমস্যার কারণ ও তার প্রতিকার’ শীর্ষক তথ্যসমৃদ্ধ সেই রিপোর্টই পেশ করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। ইএম বাইপাস লাগোয়া পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার নিকাশি সমস্যার কারণ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই রিপোর্টে। তারক সিংয়ের বক্তব্য, মেট্রোর কাজের জন্য ইন্টারসেপ্টিং ক্যানাল সহ মোট ৪টি ক্যানাল কার্যত বুজে গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিডি ১ এবং ডিবি ১ ক্যানাল।
আরও পড়ুন-মেট্রোর দৌলতে দিশাহীন জীবন
অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে নিকাশি-পথ। এর ফলে যাদবপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। রিপোর্টে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমার কারণ এবং তার সমাধানের উপরে। বিভিন্ন নিকাশি খালের জলধারণ ক্ষমতা আগে কতটা ছিল এবং এখন তা কতটা দাঁড়িয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে বিস্তারিতভাবে। তুলে ধরা হয়েছে পলি তোলার কাজের অগ্রগতির চিত্রও। শহর এবং শহরতলির কোন কোন খালের জরুরিভিত্তিতে সংস্কার প্রয়োজন তারও তালিকা পেশ করা হয়েছে রিপোর্টে।