মেট্রোর দৌলতে দিশাহীন জীবন

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৮২ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গতবার এই সংখ্যাটা ছিল ৭৫৪ জন।

Must read

প্রতিবেদন : পড়ে রইল মাথা গোঁজার ঠাঁই। নিজের ঘরদোর, আসবাব থেকে প্রয়োজনের অনেক কিছুই। যেটুকু না হলেই নয়, সেটুকু আর প্রাণটা হাতে করে পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হচ্ছে এক ঘোর অনিশ্চয়তার দিকে। এভাবেই ফের বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে নিয়ে পৈতৃকভিটে ছাড়ছেন পাড়ার অধিকাংশ বাসিন্দাই। প্রায় আড়াই বছর আগের সেই ছবি ফিরল মধ্য কলকাতার বউবাজার এলাকার দুর্গা পিতুরি লেনে। সৌজন্যে মেট্রো রেল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জেরে বুধবার রাত থেকে এই পাড়ার একের পর বাড়িতে ধরেছে ফাটল। সময় যত গড়াচ্ছে বাড়ছে ফাটল।

আরও পড়ুন-ট্রাফিক-সচেতন করতে তথ্যচিত্র

বুধবার রাত থেকে আতঙ্কে ঘরছাড়া অধিকাংশ বাসিন্দারাই। প্রশ্ন অনেক। কোথায় থাকবেন, কী করবেন? কবে ফিরতে পারবেন নিজের বাড়িতে? আদৌ কি কোনওদিন ফিরতে পারবেন এ পাড়ায়, জানা নেই কারও। আড়াই বছর আগেও এভাবে ঘর ছাড়তে হয়েছিল অনেককে। অনেকদিন অস্থায়ী ডেরায় কাটিয়ে মেট্রো কর্তাদের আশ্বাসে ফিরেছিলেন নিজের বাড়িতে। কিন্তু ফের সেই একই ছবি। বুধবার রাত থেকেই ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবারও সেই একই ছবি। মেট্রোর দৌলতে কাছের একটি হোটেলে জুটেছে অস্থায়ী ঠিকানা। এখন দলে দলে সেই ঠিকানায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন-ঐতিহাসিক টাউন হলে স্বাধীনতার ইতিহাস

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৮২ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গতবার এই সংখ্যাটা ছিল ৭৫৪ জন। এখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ১১টি বাড়িতে ফাটল ধরা পড়েছে। ফাটল ধরেছে রাস্তাতেও। মেট্রো কর্তাদের আশ্বাস, খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের বাড়ি। কিন্তু বুধবার বিনিদ্র রজনী কাটানো মানুষগুলো আর সে আশ্বাসে ভুলতে নারাজ। দুর্গা পিতুরি লেনে গার্ডরেল বসিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বাড়ির বাসিন্দাদেরও চলাফেরা করতে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তার কারণে। গোটা এলাকা জুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।

Latest article