প্রতিবেদন : চলতি সপ্তাহের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksa)। বৃহস্পতিবার সেদেশের (Sri Lanka Crisis) নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। রনিল হলেন তাঁর দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির একমাত্র সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী বদল হলেও দেশের সরকার বিরোধী প্রতিবাদ মিছিল অব্যাহত রয়েছে। বরং ক্ষোভ আর বেড়েছে উত্তর শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka Crisis)। দ্বীপরাষ্ট্রবাসীর অভিযোগ, অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে। নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল রাজাপক্ষে পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে এদিন উত্তর শ্রীলঙ্কায় বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এদিনই শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ আদালত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠদের দেশ ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চামালাগা শিবকুমার নামে এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, যতক্ষণ না মানুষের সমস্যার সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা বিক্ষোভের রাস্তা থেকে সরে আসবেন না। শপথ নেওয়ার পর রনিল মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিরোধী দলের সাংসদ হর্ষ ডি সিলভাকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হর্ষ। এই বিরোধী সাংসদ পাল্টা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না গোতাবায়া পদত্যাগ করছেন ততক্ষণ এই বিক্ষোভ চলবে এবং তিনি বিক্ষোভকারীদের পাশেই থাকবেন। অন্যদিকে এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান বলেছেন, তাঁরা শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। শ্রীলঙ্কায় থাকা স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, দ্বীপরাষ্ট্রের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। মানবাধিকার সম্পূর্ণ উপেক্ষিত।
আরও পড়ুন: অফিসে কাউকে ‘টেকো’ বলাও যৌন নিগ্রহের সমান