মিতা নন্দী , ঝাড়গ্রাম, মাওবাদীদের নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে। মাওবাদী বলে কিছু নেই। ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক সভায় সে কথাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি এই সভায় বুধবার সাফ জানিয়ে দেন যাঁরা এসব করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। সভায় মুখ্যমন্ত্রী বেলপাহাড়ির আইসির কাছ থেকে জানতে চান বেলপাহাড়ির ঝাড়খণ্ড রাজ্য লাগোয়া সীমান্ত এলাকার কি খবর? সিআরপিএফের ক্যাম্প ছিল আছে কিনা? আইসি জানান, ওখানে ৬টি সিআরপিএফ ও একটি স্ট্রাকো বাহিনীর ক্যাম্প মোট ৭টি ক্যাম্প আছে।ওই সীমান্তবর্তী এলাকায় কাউকে বাইরে থেকে কেউ ঢুকছে কিনা সে প্রসঙ্গে আইসির কাছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-কৃষিজাতসামগ্রী প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে আগ্রহ, ১১ নতুন কারখানার প্রস্তাব
বাইরে থেকে সন্দেহজনক কেউ ঢুকছে না বলে আইসি জানান। আইসি বলেন, ‘বেলপাহাড়ির সঙ্গে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার। তারমধ্যে পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে ঝাড়খন্ডের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। ওই পাঁচটি পয়েন্টে সবসময় নাকা চেকিং হচ্ছে। থানার উদ্যোগে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। সিআরপিএফের সঙ্গে যৌথভাবে রাতে লুকিয়ে থেকে চলছে অভিযান। এরিয়া ডমিনেশন হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড রাজ্যর সঙ্গে যৌথভাবে আরও সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারি চালানোর জন্য ডিজিকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-গরমের ছুটিতেও মিড ডে মিল
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেলার পুলিশ কর্তাদের কাছে জানতে চান সন্ধ্যা ৬টার পর বাইরে বেরানোর নিষেধাজ্ঞা কোন কিছু দেওয়া হয়েছিল কিনা? পুলিশ কর্তারা জানায় এ ধরনের কোন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তারমানে আতঙ্ক তৈরি করতে এই ধরনের খবর ছড়ানো হয়েছিল।’ প্রসঙ্গত সে সময় মাওবাদীদের নামে জেলার বিভিন্ন স্থানে পোস্টার মারা হয়েছিল। পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে তদন্ত হবে। পুলিশ সুপার, মেদিনীপুরের ডিজি দেখে নেবে।