প্রতিবেদন : গত শনিবার পাঞ্জাবের আপ সরকার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রবিবার দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান কংগ্রেসে নাম লেখানো জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালা। মঙ্গলবার শেষকৃত্য হয়। গায়ক সিধুকে কীভাবে দুষ্কৃতীরা হত্যা করেছে বুধবার তার হাড়হিম করা বিবরণ দিয়েছেন তাঁরই এক বন্ধু গুরবিন্দর সিং। তিনি জানিয়েছেন, রবিবার সিধু একটি মাহিন্দ্রা এসইউভি নিয়ে বার্নালায় তাঁর কাকিমার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। তিনি এবং আরও এক বন্ধু সিধুর সঙ্গে ওই গাড়িতে ছিলেন।
আরও পড়ুন-করোনায় অর্থনীতি ধসলেও ফুলে ঢোল বিজেপির কোষাগার
এসইউভিটি ছোট হওয়ায় সিধু সেদিন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের ওই গাড়িতে নিতে পারেননি। সিধুর বাবা বালকুর সিং পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি দু’জন নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে ছেলের গাড়ির পিছনে যাচ্ছিলেন। সিধুর বন্ধু জানান, যে মুহূর্তে সিধু বার্নালায় তাঁর কাকিমার গ্রামে পৌঁছন ঠিক তখনই পিছন দিক থেকে একটি গুলি চালানো হয়। অন্যদিকে সামনে থেকে একটি জিপ তাঁদের গাড়ির পথ আটকে দাঁড়ায়। অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে নিয়ে জিপের সামনে এসে দাঁড়ায় এক ব্যক্তি। এরপর সিধুকে লক্ষ্য করে ওই দুষ্কৃতী নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। প্রাণে বাঁচতে সিধু নিজের পিস্তল থেকে পাল্টা দু’রাউন্ড গুলি চালান।
আরও পড়ুন-বাড়ল সংক্রমণ
এরপর তিন দিক থেকে আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী বেরিয়ে এসে সিধুকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিবৃষ্টিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান গায়ক। সিধুকে লক্ষ্য করে ১০ জন দুষ্কৃতী অন্তত ৩০টি গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বুলেট অত্যাধুনিক এএন-৯৪ রাশিয়ান অ্যাসাল্ট রাইফেলের। হামলার সময় পিছন থেকে অসহায়ভাবে পুরো ঘটনাটি দেখেন সিধুর বাবা। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতেই তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। সিধুর বাবা জানিয়েছেন, রাস্তার উপরে একটি এসইউভি এবং একটি সেডান গাড়ি অপেক্ষা করছিল। দুটি গাড়ির প্রতিটিতে ৪ জন করে সশস্ত্র দুষ্কৃতী ছিল বলে অনুমান। সিধুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই দুটি গাড়ি প্রবল গতিতে পালিয়ে যায়।