সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : চরম অব্যবস্থার মধ্যে চালু হল মিতালি এক্সপ্রেস। বুধবার সকাল সাড়ে ন’টায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মিতালি এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক ট্রেন যাত্রা শুরু হল চরম অব্যবস্থার মাধ্যমে। ৫০০-বেশি আসন বিশিষ্ট ট্রেনে ট্রেনে যাত্রী ছিলেন মাত্র ১২ জন। এত কম সংখ্যক যাত্রি কেন? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। রেল জানিয়েছে,মিতালী এক্সপ্রেসে নোট ৫০০ ওপরে যাত্রী আসন রয়েছে। এরমধ্যে এসি স্লিপার কোচ ও এসি চেয়ারকার রয়েছে।
আরও পড়ুন-কর্মীদের মুখেই বিজেপির কুৎসা
অনলাইনে বা অন্য কোনও স্টেশন থেকে মিতালি এক্সপ্রেস এর টিকিট কাটতে পারছেনা যাত্রীরা। টিকিট কাটতে হলে যে কোনো যাত্রী বা পর্যটককে আসতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এর বিশেষ কাউন্টারে। এই বিষয়ে হিমালায়ান হসপিটালিটি হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত মিতালী এক্সপ্রেস এর যাত্রা শুরু কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে অনলাইন টিকিট চালুর ব্যবস্থা না করলে সমস্যা হবে বহু পর্যটক টিকিট কাটতে পারবে না। কারণ অনেকের পক্ষেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে টিকিট কাটা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-আমের ফলনে ধাক্কা, চড়ছে বাজার
দ্বিতীয়ত যেকোনও দূরপাল্লার ট্রেনে প্যান্ট্রিকার থাকা বাধ্যতামূলক। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন এর দূরত্ব ৫৯৬ কিলো মিটার। আন্তর্জাতিক ট্রেন হওয়ার কারণে ট্রেনের নিরাপত্তার কঠোর ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ট্রেনে কোন খাবারের হকার উঠতে পারবে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এত দূরপাল্লার ট্রেনে প্যান্ট্রিকারেরও ব্যবস্থা নেই। তাহলে যাত্রীরা খাবেন কী? কোনও উত্তর এই বিষয়ে দিতে পারে নি রেল। অন্যদিকে মিতালি এক্সপ্রেস আন্তর্জাতিক ট্রেন এবং দূরপাল্লার ট্রেন হলেও ট্রেনে নেই কোনও প্যান্ট্রিকার। এমনকি ট্রেনে নিরাপত্তা এতটাই কঠিন যে যাত্রীরা ট্রেনে উঠলে গন্তব্যস্থলে না পৌঁছানো পর্যন্ত ট্রেন থেকে নামতে পারবে না। এমনকি ট্রেনে কোনও হকার পর্যন্ত উঠতে পারবে না। তবে আটঘন্টার যাত্রায় কী খাবে তা নিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এইসব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে যাত্রীরা নিজেই।