প্রতিবেদন : বিধায়কের টিকিও দেখা যায় না। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ বহুদিনের। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও শোনা গিয়েছে বিরোধী দলের বিধায়ক-সাংসদদের এই ভূমিকার সমালোচনা। একুশের নির্বাচনের পরই বিজেপির সংগঠন ভাঙতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রায় তলানিতে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে সংগঠন গড়ে তুলতে জনসংযোগ শুরু করেছে বিজেপি। খানিকটা দুর্নাম ঘোচাতেই হঠাৎ শুভবুদ্ধির উদয় হয় ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার (Amarnath Shakha)। তিনি জনসংযোগে এবং নতুন করে সংগঠনকে মজবুত করতে নিজের বিধানসভা এলাকায় যান। আর যেতেই স্থানীয় মানুষজনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। গ্রামবাসীরা ‘চোর হটাও’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওন্দার কল্যাণী অঞ্চলে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে যান অমরনাথ (Amarnath Shakha)। অমরনাথের অভিযোগ, ‘এটা তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে হয়েছে। ওরা মিথ্যে প্রচার করছে। আমাদের কর্মসূচি চলবে।’ যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, এর সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু কিছুই করেননি। এমনকী এলাকায় তাঁকে দেখাই যায় না। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেউ পাননি। এমনকী ত্রিপলও জোটেনি। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের জের। এই অমরনাথই একুশের নির্বাচনের পর বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীদের ভোট-কৌশল নিয়ে বৈঠক