বেগুনকোদরে ভূত ভেগেছে ট্রেন থামতেই, কৃতিত্ব রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Must read

সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পুরুলিয়া-রাঁচি শাখায় পুরুলিয়া জেলায় পড়ে বেগুনকোদর স্টেশন (BegunKodor Station in Purulia)। ঝালদা দু’নম্বর ব্লকের বামনিয়া গ্রামের (Bamania Village) কাছে। অলাভজনক বলে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানো বন্ধ করে দিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। তৎকালীন সাংসদ তথা রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়াও (Railway Standing Committee Chairman Basudeb Achariya) কিছু করতে পারেননি। ক্রমে স্টেশনচত্বরটি দুষ্কৃতীদের আখড়া হয়ে ওঠে। তারপরই শুরু হয় ভূতের গুজব। ‘পটরি মেঁ দৌড়তি হ্যায় লড়কি’, বলেছিল একটি খবরের চ্যানেল। বিজ্ঞানমঞ্চ চ্যালেঞ্জ করেছিল, ‘কহাঁ পটরি মেঁ দৌড়তি হ্যায় লড়কি, দিখা দো। এক লাখ রুপিয়া ইনাম দুঙ্গা।’ ব্যস ভূতের আর দেখা নেই! ভূত স্টেশন নামে কুখ্যাত হয়ে উঠেছিল বেগুনকোদর (BegunKodor)। মাঝরাতে নাকি ভূত দেখা যেত।

আরও পড়ুন: বিজেপির আগ্রাসী রাজনীতি রুখতে পথে নামার ডাক মন্ত্রীর

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যের রেল ব্যবস্থাতেও প্রভূত উন্নতি করেছিলেন। এই স্টেশনে থামতে শুরু করে একগুচ্ছ ট্রেন। মূলত স্থানীয় কৃষকরা রাঁচির বাজারে সবজি নিয়ে যেতেন। ভূতের গুজব ছড়িয়ে পড়তে আসরে নামে বিজ্ঞানমঞ্চ। রাতে স্টেশনে গিয়ে অনুসন্ধান চালায়। মঞ্চের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক ডাঃ নয়ন মুখোপাধ্যায় (Nayan Mukherjee) বলেন, আমরা ভূত দেখানোর চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। কেউ দেখাতে পারেনি। তখনই মনে হয়েছিল, স্টেশনটি ব্যবহৃত না হওয়ায় সমাজবিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ট্রেন থামতে শুরু করতেই বাড়ে লোক-চলাচল। ভূতও গায়েব।

আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বণিক সংগঠনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, এফএসবিসিসিআই-এ আইনমন্ত্রী

Latest article