অবশেষে গ্রেফতার ত্রিপুরা সুরমা কাণ্ডের (Surma-Tripura) মাস্টারমাইন্ড বিজেপি নেতা বলাই মালাকার। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে কচুছড়া থানার পুলিশ। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী বলাই মালাকার-সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে গতকাল, বৃহস্পতিবার ধলাইয়ের পুলিশ সুপার রমেশ যাদবের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন ও প্রতিবাদের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। অন্যদিকে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনকেও নালিশ জানিয়ে ছিলেন তৃণমূলের ৬ সদস্যের সাংসদ প্রতিনিধি দল। এরপর কার্যত চাপে পড়ে বিজেপি নেতা বলাই মালাকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বলাই বিজেপির সুরমা মণ্ডলের বিজেপির কিষাণ মোর্চার সহ-সভাপতি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ত্রিপুরার (Surma-Tripura) ধলাই জেলার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ৭০ টি পরিবারের সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাদের মধ্যে ছিল মালাকার পরিবারের চার সদস্য। সেই আক্রোশে ওই দিন গভীর রাতে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বলাই মালাকারের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী ব্রজভল্লব মালাকার (৫০) ও তাঁর ৩০ বছরের ছেলে দীপক মালাকারের উপর নৃশংস আক্রমণ চালায়। দীপকের আট বছরের ছেলে তাপস মালাকারকেও রেহাই দেয়নি তারা। ওই রাতেই আক্রান্তদের কলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে সংকটজনক ব্রজভল্লব মালাকার। প্রত্যেকে এখনও চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিতে চাকরি গেল সিপিএম নেতার ছেলের
বিরোধী দলের নিরীহ কর্মী-সমর্থকদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘিরে উত্তাল ত্রিপুরার রাজ্য-রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার মুখে সন্ত্রাসমুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা বলছেন। কিন্তু উপনির্বাচনের আগে রোজই বিরোধীদের উপর সংঘঠিত আক্রমণ চালাচ্ছে শাসক দলের মদতপুষ্ট গুন্ডারা। আসলে এ যেন নতুন বোতলে পুরনো মদ। মুখ্যমন্ত্রী পদে বিপ্লবকে সরিয়ে মানিককে আনা হলেও, বিজেপির চরিত্র বদলায়নি।
এদিকে, উপনির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে বেলাগাম সন্ত্রাস নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, আসন্ন চার বিধানসভার উপনির্বাচনে ৬ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠানো হবে। প্রতি বুথে হবে ওয়েব কাস্টিং। দিল্লি থেকেও নজরদারি চলবে।