সোমনাথ বিশ্বাস : ত্রিপুরায় হাইভোল্টেজ উপনির্বাচনের (Tripura By Poll) একেবারে শেষলগ্নে জমজমাট প্রচার তৃণমূলের। মঙ্গলবার প্রচার শেষ হচ্ছে। তার আগে সোমবার সুরমায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রের প্রার্থী সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সন্ধ্যায় একটি পথসভা করে তৃণমূল। এই পথসভায় ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখেন কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিক, সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, সুদীপ রাহারা। এই সভা থেকে কুণাল ঘোষ ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশে বলেন, ভোট আসবে ভোট যাবে। কিন্তু আপনাকে নিজের অধিকার বুঝে নিতে হবে। ত্রিপুরায় বিজেপির বিকল্প শক্তি একমাত্র তৃণমূল। তাই বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করে আপনার মূল্যবান ভোটটি নষ্ট করবেন না। তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করুন। আপনি একদিন মাথা উঁচু করে ভোট দিন। তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হলে আপনাকে মাথা নিচু করে পরিষেবা দেবে। সায়নী কার্যত ত্রিপুরার মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। শেষলগ্নের প্রচারে (Tripura By Poll) তিনি বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। বাম-কংগ্রেস ব্যর্থ। তাই বিকল্প হিসাবে তৃণমুলকেই চাইছেন ত্রিপুরাবাসী। এই উপনির্বাচনে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার গঠন করলে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। গোটা রাজ্যজুড়ে বিজেপি সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তবে তৃণমূল লড়াই করতে জানে।
তৃণমূলের প্রচার সভায় বাংলার জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরছেন বক্তারা৷ প্রচারে এসে কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী ও শচীন সিং ত্রিপুরার ভোটমুখী কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছেন, কীভাবে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে জনপরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ তাঁদের কথায়, দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ বাংলার জনমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধাভোগী৷ রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে যেভাবে বাংলায় পরিষেবা দেওয়া হয় তা দেশের সামনে মডেল৷
আরও পড়ুন: অশান্তির মধ্যেই জারি অগ্নিপথ বিজ্ঞপ্তি