নয়াদিল্লি : ২০০৬ সালের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্র বিষয়ক আইন ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বা এমএসএমই ক্ষেত্রের বৃদ্ধির জন্য পৃথক বিধি তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে উৎসাহী পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন সময়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন, ঘোষণা করেছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের বৃদ্ধি ও কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এবার পৃথক বিধি তৈরি করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। এই ব্যবসা শুরু এবং বন্ধ করা নিয়েও বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে কেন্দ্রের নতুন বিধিতে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্রের ব্যবসা বন্ধ করার বিধি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, তাদের জন্য আলাদা করে কোনও ঋণখেলাপি ও দেউলিয়াবিধি নেই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদেরও এবার ঋণখেলাপি ও দেউলিয়াবিধির আওতায় আনার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার সুবিধা বন্ধ করে দিতে চায় মোদি সরকার
২০০৬ সালের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের যে সব আইন বা বিধির কারণে জটিলতা তৈরি হচ্ছে সেগুলি বিলুপ্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এর ফলে এই গোষ্ঠীভুক্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির কাজ চালানো অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের সভাপতি বিনোদ কুমার বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নরকম বিধি রয়েছে। এই মুহূর্তে একটি সামগ্রিক বিধি করা প্রয়োজন। অনেক সরকারি দফতর জানেই না কোনটি এমএসএমই সংস্থা। যদিও রফতানির নিরিখে উৎপাদকের কোনও শ্রেণিবিভাগ হয় না। শুধুমাত্র উৎপাদন করা সামগ্রীর বাজারমূল্যের হিসেবে শ্রেণিবিভাগ করা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের তরফে এমএসএমই ক্ষেত্রের কথাও তুলে ধরা হয়। তাদের পণ্য রাজ্যের মধ্যে অনলাইনে বিক্রির দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।