রাজনীতিক, অপরাধী, আমলাদের যোগসাজশ অবিলম্বে বন্ধ হোক, এলাহাবাদ হাইকোর্ট

বাহুবল, টাকা, ব্যক্তি রাজনীতি, অপরাধ জগতের আঁতাঁত এসব সুস্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

Must read

প্রতিবেদন : অপরাধীদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের যোগসাজশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ। লখনউ বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এদেশে নেতা, অপরাধী এবং আমলাদের মধ্যে একটা অশুভ আঁতাঁত রয়েছে। যেটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ অতুল কুমার সিংয়ের জামিনের আর্জি খারিজ করতে গিয়ে এই মন্তব্য করে বিচারপতি দীনেশ কুমার সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্টের বেঞ্চ বলে, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে, বর্তমানে রাজনীতি অপরাধীতে ছেয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নয়া আইন চায় কেন্দ্র

বাহুবল, টাকা, ব্যক্তি রাজনীতি, অপরাধ জগতের আঁতাঁত এসব সুস্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ডিভিশন বেঞ্চ নিজেদের মন্তব্যের সাপেক্ষে রীতিমতো পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জানায়, ২০০৪ সালে ২৪ শতাংশ সাংসদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে সেটা বেড়ে ৪৩ শতাংশ হয়েছে। এটা থেকেই বোঝা যায় রাজনীতিতে কীভাবে অপরাধীরা ছড়ি ঘোরাচ্ছে। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন তো বটেই পঞ্চায়েত পুরসভার মতো স্থানীয় নির্বাচনেও প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। বাহুবলীরা দাপিয়ে বেড়ায়। চলতি পরিস্থিতিতে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, রাজনীতিবিদ, আমলা এবং সংঘটিত অপরাধ জগতের মধ্যে একটা অশুভ আঁতাঁত তৈরি হয়েছে। যে কারণে প্রশাসন এবং বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষ ক্রমশই তার আস্থা হারাচ্ছে।

আরও পড়ুন-গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার সুবিধা বন্ধ করে দিতে চায় মোদি সরকার

বসপা সাংসদের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। এদিনের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ অতুলের মতো লোকেদের রাজনীতি থেকে বিতাড়ন করে রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করার আর্জি জানিয়েছে। একই সঙ্গে বিচারপতি দীনেশ সিংয়ের আক্ষেপ, রাজনীতিকে অপরাধ মুক্ত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট আগেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও নির্বাচন কমিশন বা সংসদ কেউই এ বিষয়ে মাথা ঘামায়নি।

Latest article