বিজ্ঞান সাধনায় কিছু করার বাসনা নিয়ে পথ হেঁটেছেন তিনি। দেশ থেকে পাড়ি দিয়েছেন বিদেশে। ডক্টরেট করেছেন। এরপর কী করবেন? দেশে তখন গবেষণার পরিকাঠামো ভাল নয়। ওদিকে বিদেশে কাজের হাতছানি। বড় কিছু করার বাসনা তাকে যেন প্রলুব্ধ করত সেই হাতছানিতে সাড়া দিতে। কিন্তু ভারতবর্ষ, তাঁর জন্মভূমি? তার প্রতি যে তাঁর অগাধ টান। নিজের ভাল কেবল নয়, দেশের কথাও তো ভাবতে হবে। সবাই যদি বিদেশে পাড়ি দেয় তাহলে দেশের গবেষণার উন্নতি হবে কী করে? সিদ্ধান্ত নিলেন বিদেশ নয়, ভারতবর্ষই হবে তার কর্মক্ষেত্র। দেশের গবেষণার সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবেন। ভারতবর্ষের গবেষণাকে এক আলাদা জায়গায় পৌঁছোনোর চেষ্টা করবেন। তাই বিদেশের হাতছানি এড়িয়ে ফিরে এলেন দেশে। তারপরের ঘটনা ইতিহাস। যে ইতিহাসের সেই আলোক অধ্যায়ে জ্বলজ্বল করছে যে নাম, তিনি হলেন কমল রণদীভ। ভারতের ক্যানসার গবেষণার কথা বলতে গেলে অবশ্যই করে উচ্চারণ করতে হয় তাঁর নাম।
আরও পড়ুন-আলোর পথের দিশারি
ভারতবর্ষের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এক দীর্ঘ সময় জুড়ে মহিলাদের পড়াশোনা করার অধিকার ছিল না। ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে সেই অবস্থার একটু একটু করে উন্নতি হতে থাকে। আমরা যদি চোখ রাখি বিংশ শতাব্দীর স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ভারতবর্ষে, তাহলে দেখতে পাব মহিলাদের শিক্ষার হার তেমন আহামরি ছিল না। নারী-শিক্ষার প্রসার তখনও ব্যাপকভাবে ঘটেনি। অধিকাংশ বাবা-মায়েরাও সেই সময় মেয়েদের পড়ানোর ব্যাপারে তেমন উৎসাহী ছিলেন না। আর উচ্চশিক্ষার ব্যাপারটা যত কম বলা যায় ভাল। পড়াশোনা করতে থাকা বহু মেয়ে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে বন্ধ করে দিত। অনেকে বাধ্য হতেন বন্ধ করে দিতে। উচ্চশিক্ষা করার তেমন সুযোগও তাঁদের ছিল না। অনেক বাধা ও প্রতিকূলতা। আর বিজ্ঞান গবেষণাধর্মী কাজে তাঁদের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত কম। তবু তারই মাঝে ব্যতিক্রমী কেউ কেউ নানাবিধ বাধা ও প্রতিকূলতাকে জয় করে বিজ্ঞানের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন। কমল রণদীভ হলেন তেমনই একজন মহিলা। ভারতের ক্যানসার গবেষণাকে যিনি এক আলাদা উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারতের প্রথম টিসু কালচার গবেষণাগার স্থাপন করেছিলেন।
আরও পড়ুন-রথের চাকায় বাংলার যোগ
১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের পুনেতে কমল সমর্থ (রণদীভ)-এর জন্ম হয়। তাঁর বাবা ছিলেন দিনকর দত্তাত্রেয় সমর্থ ও মা শান্তাবাই দিনকার সমর্থ। দিনকর ছিলেন অন্য ভাবনার মানুষ। তিনি নিজে ছিলেন একজন জীববিদ। ফার্গুসেন কলেজের জীববিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন তিনি। গতানুগতিক ভাবনার বাইরে গিয়ে তিনি চেয়েছিলেন তাঁর সমস্ত সন্তানদের সুশিক্ষিত করতে। তাঁদের স্বাবলম্বী করতে। তাঁর সন্তানের মধ্যে কমল ছিলেন সবচেয়ে বেশি মেধাবী। তাঁর ইচ্ছে ছিল মেয়েকে ডাক্তারি পড়ানোর কিন্তু কমল সেই পথে যান না। পুনের হুজুরপাগা এইচ-এইচ-সি-পি হাইস্কুল থেকে শিক্ষা শেষ করে তিনি ফার্গুসেন কলেজে বটানি ও জুলজি নিয়ে ভর্তি হন। ১৯৩৪-এ তিনি স্নাতক হন।
১৯৩৯-এর ১৩ মে তাঁর বিয়ে হয় জয়সিং ত্রিম্বক রণদীভের সঙ্গে। কমলের বাবার ইচ্ছে ছিল কোনও ডাক্তারের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার। কিন্তু সে আশাও পূর্ণ হয়নি তাঁর। জয়সিং ছিলেন গণিতবিদ। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে তিনি মুম্বইয়ে থাকতেন। তাঁদের একমাত্র পুত্রের নাম অনিল জয়সিং।
আরও পড়ুন-বৃষ্টির জলে ডুবল স্কুল বাস!
১৯৪৩-এ কমল রণদীভ পুনের কৃষি কলেজ থেকে সাইটোজেনেটিক্স নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর পিএইচডি করার জন্য বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মুম্বইয়ে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের কাছাকাছি তিনি থাকতেন। এখানে থাকার সময় ভি-আর খানোলকারের সংস্পর্শে আসেন তিনি। তাঁর আন্ডারে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
প্রসঙ্গত বলার ভারতে ক্যানসার গবেষণার পথিকৃৎ হলেন ভি-আর খানোলকার। তিনি ভারতের প্রথম প্যাথলজিস্ট। তাঁকে বলা হয়ে থাকে ‘Father of Pathology and medical research in India’। টাটা ট্রাস্ট তাঁকে মেমোরিয়াল হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবরেটরির ডাইরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করেন। তিনি সেই সময় লক্ষ্য করেন ক্যানসার গবেষণা বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভীষণ অনীহা। যাঁরা চিকিৎসা পেশায় আছেন কিংবা যাঁরা বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র, তাঁদেরও মধ্যে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করার তেমন আগ্রহ নেই। তিনি ক্যানসার নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করেন এই বিষয়ে গবেষণা করার বিষয়ে। শুধু তাই নয়, ভারতবর্ষের ক্যানসার গবেষণার মান বৃদ্ধি নিয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ইন্ডিয়ান ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আরও পড়ুন-রথের চাকায় বাংলার যোগ
যাই হোক, পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করার পর খানোলকার কমল রণদীভকে পরামর্শ দেন বিদেশ থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি করার জন্য। কমলও তাই চান। বিদেশে গবেষণা করার জন্য তিনি বিভিন্ন জায়গায় বৃত্তির জন্য আবেদন করতে থাকেন। আমেরিকার বাল্টিমোরে অবস্থিত জন হপকিন্স বিশ্ব বিদ্যালয়ে সুযোগ পান তিনি। এখানে জর্জ অটো গে-এর সঙ্গে টিসু কালচার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন।
তখনকার সময়ে যে সকল ভারতীয়রা বিদেশে পোস্ট ডক্টরেট করতে যেত তাঁদের মধ্যে একটা স্বাভাবিক প্রবণতা ছিল সেখানে থেকে গিয়ে গবেষণা করার। কারণ সেই সময় ভারতবর্ষে গবেষণা করার ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু খানোলকার ছাত্রছাত্রীদের বলতেন বিদেশে না থেকে দেশে গবেষণা করতে। এখানকার গবেষণার মান বৃদ্ধি করতে। খানেলাকারের কথা মাথায় ছিল কমলের। পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে তাঁর মধ্যে ছিল জাতীয়তাবোধ। তাই পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর কমল রণদীভ দেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন-মেঘ ভাঙা বৃষ্টি অমরনাথ গুহার কাছে, মৃত একাধিক
১৯৫২ সালে দেশে ফিরে আসার পর তিনি ইন্ডিয়ান ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে সিনিয়র রিসার্চ অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি বিভাগ স্থাপন করেন। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি এই বিভাগের প্রধান ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি এখানে টিসু কালচার ল্যাবোরেটরি স্থাপন করেন। প্রথম মহিলা তথা প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। এই গবেষণাগার ফলে জীববিজ্ঞানের গবেষণার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হয়। বেশকিছু তরুণ উৎসাহী জৈব রসায়নবিদ ও জীববিদ নিয়ে তিনি একটি দল তৈরি করেন গবেষণার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কমল রণদীভ ছিলেন অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ। তবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে খুব প্রিয় ছিলেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কাজ করার আগ্রহ ও ভালবাসা জাগিয়ে দিতেন তিনি। তাঁর কথাবার্তায় ছাত্রছাত্রীরাও খুব উৎসাহ পেতেন। ফলে তাঁর ল্যাবরেটরি সবসময় সচল থাকত। এমনকী দীর্ঘ রাত পর্যন্ত তরুণ গবেষকরা এখানে কাজ করতেন। ভারতে গবেষণার পথ প্রশস্তির মাধ্যমে তিনি বিদেশে পাঠরত গবেষকদের দেশে এমন কাজ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। ১৯৬২-’৬৬ পর্যন্ত তিনি ইন্ডিয়ান ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারের অ্যাক্টিং ডাইরেক্টর ছিলেন। ১৯৬৬-’৭৭ পর্যন্ত তিনি টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বায়োলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন।
আরও পড়ুন-এবার এক ছাতার তলায় তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠনগুলি, কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী?
অ্যানিম্যাল মডেলের মাধ্যমে ক্যানসার স্টাডির পথিকৃৎদের মধ্যে কমল রণদীভ ছিলেন একজন। টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে গবেষণা করার সময় নানা প্রজাতির ইঁদুরের মধ্যে স্তনক্যানসার নিয়ে গবেষণা করেন। লিউকোমিয়া এবং খাদ্যনালির ক্যানসারের কারণ অনুসন্ধান করতে তিনি সফল হন। পাশাপাশি টিউমার ভাইরাস ও হরমোনের আন্তঃসম্পর্কের সঙ্গে ক্যানসার প্রবণতার যোগসূত্র সম্পর্ক তিনিই প্রথম শনাক্ত করেন। ১৯৪৫-এর ফেব্রুয়ারি মাসে এই নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেন তিনি। ক্যানসার গবেষণার পাশাপাশি তিনি ব্যাকটেরিয়া নিয়েও গবেষণা করেন। তাঁর এই গবেষণা কুষ্ঠ রোগের প্রতিষেধক তৈরি করতে সাহায্য করে। তার দুশোর বেশি গবেষণাপত্র বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-উত্তরাখণ্ড: নদীতে গাড়ি উল্টে মৃত ৯
এমনিতেই সে সময় মেয়েদের পড়াশোনার অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। চাইলেও অনেকে উচ্চশিক্ষা করার সুযোগ পেত না। বিশেষ করে বিজ্ঞান নিয়ে। পাশাপাশি বিয়ে, সংসার এসব কারণে অনেক মহিলাকে উচ্চশিক্ষার বাসনা ত্যাগ করতে হত। কমল রণদীভ নিজে গবেষণার পাশাপাশি দেশের গবেষণার পথ প্রশস্ত করেছেন, তরুণদের উৎসাহিত করেছেন গবেষণার বিষয়ে। পাশাপাশি তার মনের বাসনা ছিল দেশের পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের উন্নতি ও বিকাশ ঘটানো। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে শুরু করে গবেষণা, সবেতেই মেয়েদের বেশি বেশি করে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। মেয়েদের সমস্যা দূর করার জন্য তিনি ও তাঁর তেরো জন সহকর্মী মিলে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে বোম্বেতে স্থাপন করেন ইন্ডিয়ান ওমেন সায়েনটিস্ট অ্যাসোশিয়েশন (IWSA)। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এর শাখা রয়েছে এবং দু-হাজারের বেশি মহিলা বিজ্ঞানী রয়েছে এর। এই সংস্থার মেয়েদের হোস্টেলের ব্যবস্থা, বিবাহিত মহিলাদের জন্য ডে-কেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে দেশে যে সকল সেরা বিজ্ঞান সংস্থা রয়েছে তাদের মধ্যে এটি অন্যতম।
আরও পড়ুন-গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রয়াত জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে
বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি তিনি সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। অবসরের পর এই কাজে তিনি নিজেকে পুরোপুরি নিযুক্ত করেন। তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম ‘সত্য নিকেতন’। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি এবং তাঁর দলবল মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার আকোলা তালুকে উপজাতি শিশুদের পুষ্টির ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি আহমেদনগর ও রাজপুর জেলার গ্রাম্য মহিলাদের ওপর কাজ করেন। তাঁদের বোঝান স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার কিংবা তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওম্যান এসোশিয়েশন মারফত পরিষেবা নিতে। স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি তাদের স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবেও নিয়োগ করেন।
আরও পড়ুন-বিজেপি কি ওয়াশিং মেশিন ! দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতারি চাই
বিজ্ঞানে অসামান্য আবদানের জন্য ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ খেতাব প্রদান করে। পেয়েছেন জে জে ওয়াটুমাল ফাউন্ডেশন পাইজ। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে পান মেডিক্যাল ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার সিলভার জুবিলি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড। উল্লেখ্য, প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে তিনি এই সম্মান পান। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর ইমমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন তিনি।
২০০১ সালের ১১ এপ্রিল, তিরাশি বছর বয়সে পরোলোকে যাত্রা করেন তিনি।
আরও পড়ুন-গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রয়াত জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে
ভারতের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করেছিলেন কমল রণদীভ। পাশাপাশি তিনি মেয়েদের বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা ও বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে গবেষণার কাজে উৎসাহিত করেছিলেন। আজকের দিনে দেশের বিজ্ঞান সাধনায় অসংখ্য মহিলার উপস্থিতি আমরা দেখতে পাই। এই পথ দেখিয়েছিলেন কমল রণদীভ। শুধুমাত্র নিজে শিক্ষিত নয়, পাশাপাশি দেশের নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে মানসিকতা তিনি দেখিয়েছিল তা পরবর্তী সময়ের নারী প্রজন্মের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। এখানেই কমল রণদীভের কৃতিত্ব। শুধুমাত্র শিক্ষা কিংবা গবেষণা নয়, তাঁর নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে একজন আলোকদিশারি হিসাবে।