সংবাদদাতা, কাটোয়া : বর্ধমানে (Bardhaman) বিষমদ-কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। অন্য একটি সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হয়েছে। তবে বিষমদ খেয়েই তাদের মৃত্যু কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। মৃতদের নানারকম উপসর্গ ছিল বলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে রাজ্য থেকে দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক বর্ধমানে আসছেন। জেলার বিভিন্ন মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে হোটেলের মদ নিয়ে গণ্ডগোল, সেখানকার সাইনবোর্ডে লেখা আছে, ভাত-রুটি পাওয়া যায়। যে দোকান থেকে ওখানে মদ এসেছিল, সেই দোকানটিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। আরও একটি হোটেলে বেআইনিভাবে মদবিক্রি হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। একটি বাংলা মদের বোতলের দাম ১২০ টাকা। ওই হোটেলে ১০/২০ টাকার মদ মিলত। যে ব্যাচের মদ খেয়ে এমন কাণ্ড বলে অনুমান, সেই ব্যাচের সমস্ত মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভাতের হোটেলে মদ বিক্রি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করার মতো। বৃহস্পতিবার থেকে জেলা (Bardhaman) জুড়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধ চোলাই বিক্রির অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, ‘এমনিতেই নিয়মিত তল্লাশি চলে। তবে এই ঘটনার পর নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের ৯ তীর্থযাত্রী নিরাপদে ফিরছেন