এজবাস্টন: ৫১ রান। ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাউদাম্পটনে প্রথম টি-২০ ম্যাচে হার্দিক পাণ্ডিয়ার (Hardik Pandya) অলরাউন্ড পারফরমান্স নিয়ে এখনও উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট মহল। সতীর্থ ঈশান কিশানের কাছে নিজের এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। হার্দিক বলেছেন কীভাবে কঠিন সময় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। হার্দিকের কথায়, ব্যাপারটা খুব সহজ। ঈশান যেহেতু দলে আছেন, তিনিও ব্যাপারটা বুঝবেন। বরোদার অলরাউন্ডার ঈশানকে বলেন, ‘‘ব্যাপারটা খুব সহজ। আর সেটা তুমিও জান। আমরা সবাই মিলে নিজেদের প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। যাতে কাজটা উপভোগ্য হয়, সেটাও দেখছি আমরা। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এটা দারুণ লক্ষণ। ব্যাটসম্যানরা সবাই ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে।” এরপর হার্দিক (Hardik Pandya) জানান, তিনি ঝুঁকিহীন ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছেন। আইপিএলে উপরে ব্যাট করায় গ্যাপ খুঁজে নিয়ে বাউন্ডারি মারার ব্যাপারটাও রপ্ত করে ফেলেছেন। ‘‘আমার জীবনে প্রচুর ছক্কা মেরেছি। কিন্তু বাউন্ডারি হাঁকানোই এখন লক্ষ্য আমার।” বক্তব্য হার্দিকের। সাউদাম্পটনে ম্যাচ জিতিয়েও বিশেষ, কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি হার্দিকের। তাঁর বক্তব্য হল, “আমার কাছে ওটা ছিল আরেকটা দিন। আমি আমার কাজ করেছি।’ তবে নিজের বোলিং নিয়ে কিছুটা উচ্ছ্বাস শোনা গেল হার্দিকের গলায়। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি বরং ৯০.৫ কিমি গতিতে বল করতে পেরে বেশি খুশি। এজন্য সব কৃতিত্ব সাপোর্ট স্টাফেদের। বিশেষ করে সোহম ও হর্ষর। আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর ওরা নিরলস পরিশ্রম করে আমাদের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করেছে।” বলেছেন হার্দিক। প্রসঙ্গত, হার্দিকের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে তিনি আইপিএল ফাইনালে ভাল বোলিং করেছিলেন। আয়ারলান্ডেও বোলার হার্দিক নজর কেড়েছেন। অথচ হার্দিক কেন বল করছেন না, তা নিয়ে একটা সময় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তিনি কি আনফিট? চর্চা ছিল তা নিয়েও। এবার জবাব দিলেন হার্দিক।
আরও পড়ুন: লিগে মোহনবাগান অনিশ্চিতই