সংবাদদাতা, রানাঘাট : ২০২৪-এর ১৫ অগাস্ট পায়ে হাওয়াই চপ্পল, তাঁতের শাড়ি পরা এক মহিলাকে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে দেখা যাবে। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রানাঘাটে ‘২১ জুলাই ধর্মতলা চলো’-র প্রস্তুতিসভায় তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এর আগে দু’বার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।
আরও পড়ুন-কবে শিখবে বিরাটরা! স্লেজিং নিয়ে বেয়ারস্টো
এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০৪ সালের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, সময় এসেছে অ-বিজেপি শক্তিগুলোর একজোট হওয়ার। আর সেই শক্তিকে যিনি একত্রিত করতে পারেন তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাতবারের সাংসদ, চারবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার মধ্যে দু’বারের রেলমন্ত্রী, তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতো অভিজ্ঞ, যোগ্য বিকল্প মুখ সারা দেশে আর দ্বিতীয় নেই। একমাত্র তিনিই মোদি সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন সরকার গড়তে পারেন। কুণালের সাফ কথা, যাঁরা মনে করেন পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বাড়ানো ঠিক হয়েছে তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিন। কিন্তু যাঁরা তা মনে করেন না, তাঁরা বিজেপিকে একটি ভোটও দেবেন না। একুশে জুলাই আসুন সবাই মিলে সারাদেশে একটা বার্তা ছড়িয়ে দিই। বাংলার সেই বার্তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক, ‘বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও’। আর সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যিনি এর নেতৃত্ব দেবেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-বৃদ্ধতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, অভিযোগ সিন্ডিকেট রাজের, সিপিএমে ধস, দলত্যাগী ছয় নেতা
এদিন শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কী পায়নি ওই পরিবার? মন্ত্রী থেকে সাংসদ, সাংসদ থেকে পুরপ্রধান। সব পেয়েছে ওই পরিবার। ওর এক ভাই পুরসভার চেয়ারম্যান। এখন জানা যাচ্ছে সে কাঁথি পুরসভার শ্মশানের জমিও বেচে দিয়েছে। ওর বাবা কখনও ভাবেনি যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবে। তৃণমূল থেকে সব নিয়ে, পিছন থেকে ছুরি মেরে এখন বাঁচতে বিজেপির ছাতার তলায় লুকিয়েছে। কুণাল বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন হাওয়া নিয়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের শিকড়কে আরও ৫০ বছরের জন্য যে গভীরে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আমরাও শামিল।