সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : নানা টালবাহানায় পৌষমেলা (Poush Mela) করেনি বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁদের অনুরোধেই ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। এবার মান বাঁচাতেই পৌষমেলা করতে চলেছে বিশ্বভারতী। তার জন্য কর্মিপরিষদের চিঠির পরেই ২৯ জুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়ে সাহায্য চাইল কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নিয়মানুযায়ী নিরাপত্তা, বায়োটয়লেট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য স্বেচ্ছাসেবী শুরু থেকে চারদিন মেলার শেষদিন পর্যন্ত সমস্ত ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে। জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেই সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এই মর্মে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে একটি চিঠি দেয় কর্মিপরিষদ। তাতে বলা হয়, গত দু বছর করোনা-কারণে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা (Poush Mela- Visva-Bharati) হয়নি। তাঁরা চান, এ বছর সকলের সহযোগিতায় আনন্দের সঙ্গে মেলা হোক। এর জন্য শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন যুগ্ম সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য, মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম সাহা, বাপি দাস ও দেবাশিস রায়।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর, বিজিপিএমের কর্মিবৈঠক
বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিং বলেন, আমরা চাই ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হোক এবং তা সুষ্ঠুভাবে। নিরাপত্তা জমা নিয়ে যেভাবে দুর্নীতি হল, তা যেন না হয়। হস্তশিল্পী সংগঠন তথা কবিগুরু মার্কেটের সম্পাদক আমিনুল হুদার অভিযোগ, উনিশের পৌষমেলার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। আড়াই বছর দুঃস্থ হস্তশিল্পীদের টাকা আটকে কয়েক লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এর জন্য দায়ী ট্রাস্টের সদস্যরা নন, দায়ী নোডাল অফিসার ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।