ফুরিয়েছে রসদ, ফেরার অনিশ্চয়তায় রাজ্যের পর্যটকরা

Must read

প্রতিবেদন : পবিত্র অমরনাথ (Amarnath) দর্শনে গিয়ে বিপাকে হাওড়ার বালির বাসিন্দা শ্রাবন্তী রায়। অমরনাথ যাওয়ার পথে আপাতত পুলওয়ামায় আটকে রয়েছে তাঁদের গোটা দলটি। দিন কাটাচ্ছেন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে। জানা গিয়েছে, গত ৬ জুলাই তাঁদের ৯ জনের দলটি অমরনাথের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। পুলওয়ামা থেকে এক ভিডিওবার্তায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের ফিরিয়ে আনার কাতর আবেদন জানিয়েছেন শ্রাবন্তীরা। শ্রাবন্তীর বাড়িতে অসুস্থ মা ও বয়স্ক বাবা। মেয়ের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরাও। হড়পা বানের ধাক্কায় লন্ডভন্ড অমরনাথ। মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। খোঁজ নেই অনেকের। প্রাণে বাঁচলেও, জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সব। ফেরার মতো টাকাও নেই। তাই উপায় না দেখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই আবদেন জানিয়েছেন শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তীদের মতো একই অবস্থা বাংলার অনেক বাসিন্দারই। অমরনাথে (Amarnath) গিয়ে আটকে পড়েছেন পুলিশ কর্মী প্রবীর কর্মকার। ১ জুলাই পরিবার-সহ ৮০ জনের দলের সঙ্গে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার তারদহের বাসিন্দা প্রবীর অমরনাথ রওনা হয়েছিলেন। ভিডিওবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, অমরনাথ দর্শনে যাওয়ার পথে আটকে পড়েছেন। ভয়াবহ অবস্থা। কপ্টারে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছে প্রবীরদের গোটা দল। এঁদের মতোই অবস্থা খড়দার বাসিন্দা মধুসূদন ভট্টাচার্যের। তাঁর দাবি, তাঁদের অনেকের কাছেই টাকাপয়সা নেই। এই পরিস্থিতিতে টেন্ট ভাড়াও দিতে পারছেন না। কিন্তু ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন টেন্ট মালিকরা। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন তাও জানেন না। সবমিলিয়ে চরম বিপাকে সবাই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

আরও পড়ুন: পৌষমেলা: সাহায্য চেয়ে রাজ্যকে চিঠি বিশ্বভারতীর

Latest article