প্রতিবেদন : ডাকাতি এবং খুনের দ্রুত কিনারা করতে ডগ স্কোয়াডকে (Dog Squad) ঢেলে সাজাচ্ছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। অত্যাধুনিক এবং অভিজাত ‘ট্র্যাকিং ইউনিট’ এর শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়ে আসা হয়েছে একটি নতুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্র্যাকার ডগ। এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডে ট্র্যাকার ডগের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে মোট ৩টি। হালকা হলুদ রঙের ল্যাব্রেডর প্রজাতির কুকুর ট্র্যাকার ইউনিটে এই প্রথম। বয়স দেড় বছর। ডগ স্কোয়াডের এই নতুন সদস্যের নাম ক্যাম্ফর। এই ইউনিটে রয়েছে আরও দু’টি অ্যালসেশিয়ান। মাসখানেক আগে একটিকে পাঠানো হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণে। সফল প্রশিক্ষণ শেষে ৮ মাস পরে ফিরে এসে যোগ দেবে ট্র্যাকার স্কোয়াডে ডিউটিতে। বিশেষ ভূমিকা নেবে গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে। কলকাতা পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারই চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে ক্যাম্ফর। এর আগে দু’টি পর্যায়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ শেষ করেছে সে। প্রথমে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ। ৯টি কুকুরের সঙ্গে। তারপরে হরিয়ানায় ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের শিবিরে ৩ মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ। মূলত খুন এবং ডাকাতির কিনারায় বিশেষ পারদর্শী করে তুলতে এই বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। দীর্ঘ সময় ধরে এমন পরিশ্রমসাধ্য প্রশিক্ষণ কলকাতা ডগ স্কোয়াডের কোনও সদস্যের ক্ষেত্রে এই প্রথম। পুলিশের (Dog Squad- Kolkata Police) এক প্রশিক্ষকের কথায়, গন্ধ শুঁকে সূত্র খুঁজে বের করা এই ধরনের কুকুরের কিন্তু সহজাত দক্ষতা। ঘষেমেজে সেই দক্ষতাকে আরও উন্নত করে তোলাই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। স্বভাবগতভাবে ল্যাব্রেডর কিন্তু তেমন আগ্রাসী নয়। বরং কিছুটা শান্ত প্রকৃতির। তবে অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় তাদের সূত্র খুঁজে বের করার মুন্সিয়ানা অনবদ্য। দক্ষতার প্রশ্নে কলকাতা পুলিশকে তুলনা করা হয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে। ডগ স্কোয়াডের অন্য ৯ সদস্যের সঙ্গে ট্র্যাকার ইউনিটের ৩ সদস্যও রীতিমতো মানানসই হয়ে উঠবে বলে আশা পুলিশকর্তাদের।