কৌশিক দে, মালদহঃ ড্রাগন ফলের চাযে লাভবান হওয়ার কথা বলছে রাজ্যের উদ্যান পালন দফতর। মালদহের চাঁচল ও গাজল ব্লকের বেশ কিছু চাষী ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন বলে জানান দফতরের উপ-অধিকর্তা কৃষ্ণেন্দু নন্দন। তিনি বলেন, কম পরিশ্রম এবং স্বল্প খরচে ড্রাগন চাষ করে মালদার চাযীরা সাফল্য পেয়েছেন। মশাবাহিত রোগ, ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে এর উপকারিতা আছে। মূলত অক্সিজেন জোগান ও ভিটামিনের ক্ষেত্রে কার্যকরী। অনেকটা আপেলের আকৃতির গোলাপি রঙের ফলটির ভিতরে সাদা শাঁস থাকে। উল্লেখ্য, মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে ড্রাগন ফলের সুনাম করে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : বিনামূল্যে জয়েন্টের প্রশিক্ষণ
পাশাপাশি চাষীদের আগ্রহ বাড়াতে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। এরপরেই মালদহে ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে ড্রাগন চাষ। উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর চায হয় মূলত দক্ষিণ এশিয়ার থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্যাঙ্ককে। সেখান থেকেই এদেশে প্রসার। ২০১৯-২০ কুড়ি অর্থবর্ষে জেলার চাষীদের কুড়ি হাজার চারা দেওয়া হয়েছে। গাজলের জিতেন হেমব্রম বলেন, ৪ বিঘা জমিতে ড্রাগনের চাষ শুরু করি। এক বছরের মধ্যেই লাভের মুখ দেখেছি। ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জমিতে শুধুমাত্র একটি ৮ থেকে ১০ সিটের কংক্রিটের পোল পুঁততে হয়। লতাজাতীয় গাছটি পোলের সাহায্যে বেড়ে ওঠে। একটা গাছ থেকে ৩০ কিলো ফল হয়। ফলটি হালকা মিষ্টি হওয়ায় অনেকেই কিনতে আগ্রহী। কাঁটাজাতীয় গাছ বলে পোকার আক্রমণ হয় না। কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, মে মাসে চাষ শুরু হয়, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফলন চলে আসে। ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই ড্রাগন চাষে সাফল্য পেয়েছেন চাষীরা। উৎপাদন বাড়াতে আগ্রহী চাষীদের সবরকম সহযোগিতা করছে দফতর।