আসন্ন ২১ জুলাই শহিদ দিবসকে নজরে রেখে বাংলাজুড়ে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার কেশিয়াড়িতে প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের আগামী লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (TMC- Kunal Ghosh)। রীতিমতো সুর চড়িয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, ২১ জুলাই শপথ হবে ২০২৪ সালের ১৫ অগস্ট লালকেল্লায় ভাষণ দেবেন বাংলার মেয়ে তৈরি হবে মানুষের সরকার। একইসঙ্গে বিজেপির জনবিরোধী নীতি ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে চেনা সুরে আক্রমণ শানালেন কুণাল।
২১ জুলাই ধর্মতলা চলোর সমর্থনে কেশিয়াড়িতে তৃণমূলের জনসভায় উপস্থিত হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “২১ জুলাই শুধু তৃণমূল নয়, বাংলার রাজনীতির অভিমুখ। এই ২১ জুলাই ঠিক করে দেয় বাংলার রাজনীতি কোনদিকে যাবে।” একইসঙ্গে এদিন ২১ জুলাইয়ের শপথ ঠিক করে দিয়ে কুণাল (TMC- Kunal Ghosh) বলেন, “২১ জুলাই শপথ হবে ২০২৪ সালের ১৫ অগস্ট লালকেল্লায় হাওয়াই চপ্পল পরা তাঁতের শাড়ি পরা বাংলার মেয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন এবং মানুষের সরকার তৈরি হবে।” একইসঙ্গে দিল্লির মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে কুণাল বলেন, আজ গোটা দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে, পেট্রোল-ডিজেল, রান্নার গ্যাস, কেরোসিন, সার, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হুড়মুড়িয়ে বেড়ে চলেছে। আর ওরা বলছে জয় শ্রীরাম। জয় শ্রীরাম বলতে আপত্তি নেই যদি এই সব জিনিসের দাম কমে তবে।
আরও পড়ুন: দেশের সেরা যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিনের জনসভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন কুণাল। সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ভোটের আগে কারও কারও মনে হল বিজেপি আসবে। ওমনি তাঁদের মনে হল দমবন্ধ লাগছে। প্লেন এলো। প্লেনে করে দিল্লি গেল। আর ভোট পার হতে তাঁরা এখন বলছে, দিদি অটো পাঠাও, ফিরে আসি।” একইসঙ্গে যোগ করেন, “বিজেপির পার্টি অফিসে বেঁধে রাখা কুকুরের মত ঘুরঘুর করছে শুভেন্দু। একটা চোর, তোলাবাজ, বেইমান ওকে কলার ধরে গ্রেফতার করাব। ২০১৬ সালে নারদায় ঘুষ নিয়েছিল। সেটা কে দেখিয়েছিল বিজেপি, গ্রেফতারের দাবি কে তুলেছে? বিজেপি। কি করে সে এখনও বাইরে ঘুরছে? এজেন্সি শুধু তৃণমূলের জন্য?” রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও, ‘বিজেপির দালাল, বিজেপির এজেন্ট’ বলে তোপ দাগেন কুণাল।
একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “আসন্ন ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যেখানে বিরোধীদের তরফে প্রার্থী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা। গোটা দেশের নেতৃত্ব তাঁকে ভোট দেবেন। বিজেপি থেকেও বিবেক ভোট হবে। বিজেপি যারা নিপীড়িত, দলের অন্দরে দলবাজিতে বীতশ্রদ্ধ তাঁরা ভোট দেবেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন দিয়ে শুরু হচ্ছে। এই লড়াই ২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে ২০২৪ সালে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদিকে উৎখাত করে মমতার নেতৃত্বে সরকার গড়া পর্যন্ত চলবে।”