প্রতিবেদন : আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা যত দিন যাচ্ছে তত বাড়ছে। ফল ভুগছে প্রাণিজগৎ। পেশায় আইআইটি মুম্বইয়ের অধ্যাপক চেতন সোলাঙ্কি নিজের পরিচয় দেন সোলার- সৈনিক হিসেবে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে ২০২০-তে শুরু করেন শক্তি স্বরাজ যাত্রা। সম্পূর্ণ সৌরশক্তি দ্বারা চালিত একটি সোলার বাসের ডিজাইন করেছেন।
আরও পড়ুন-১৭ বছরেই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানীর স্বীকৃতি অপরূপের
এবার লো-কার্বন ফুটপ্রিন্টের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে চান। সেই উদ্দেশ্যে কলকাতায় পৌঁছেছেন সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে জীবনধারণের উপায় খোঁজা ‘সোলার ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ চেতন। জলবায়ুর পরিবর্তনের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে সাসটেনেবল এনার্জি সলিউশনের কথা পৌঁছে দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁর মতে, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানবসৃষ্ট এবং আমরাই একে প্রতিহত করতে পারি। আমরা যদি স্বল্পশক্তির জীবনযাপন করি তবে জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তন এড়াতে পারি। এর জন্য তিন ভাগে বিন্যস্ত একটি নীতি নিতে হবে। নীতিটি হল এড়ানো, ছোট করা এবং উৎপন্ন করা। অর্থাৎ যতটা সম্ভব শক্তির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। যদি না পারেন, খরচ কমানোর চেষ্টা করুন। একটি অফ-গ্রিড সম্প্রদায়-ভিত্তিক সোলার প্ল্যান্টে শক্তি উৎপন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন-১৫ অগাস্ট ২০২৪-এ বাংলার মেয়ে ভাষণ দেবেন লালকেল্লা থেকে: কুণাল ঘোষ
শক্তি স্বরাজের প্রচারে আইআইটি থেকে ছুটিতে আছেন। বলেন, ‘আমি নিশ্চিত জলবায়ুর এই পরিবর্তন দেখে মহাত্মা গান্ধী অলসভাবে বসে থাকতেন না। স্বরাজের জন্য মানুষকে জাগাতে ডান্ডি মার্চের মতো মহাকাব্যিক যাত্রা শুরু করতেন। আমি গান্ধীজি নই। কিন্তু শক্তি স্বরাজের জন্য তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণের তাগিদ অনুভব করেছি।’