সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : কেন্দ্রের তথ্যই বলে দিল, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর হাত ধরেই বিশ্বভারতী নিচে নামছে। এর থেকে প্রমাণ কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার মান অত্যন্ত খারাপ। আর এই বিশ্বভারতীর আচার্য পদে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। ভারতে বিশ্বভারতীর তালিকায় রয়েছে আটানব্বই।
আরও পড়ুন-প্রাথমিক স্কুল সকালে করার দাবি করলেন শিক্ষকরা, তীব্র দাবদাহে কাহিল উত্তর
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তালিকায় লজ্জাজনকভাবে নিচে বিশ্বভারতী। গত বছর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই র্যাংঙ্ক ছিল চৌষট্টি। পনেরো সালে ন্যাকেররর্যাংঙ্কও বিশ্বভারতী মাত্র আঠারো নম্বরের জন্য ‘এ’ পায়নি। চারশোর মধ্যে দুশো বিরাশি স্কোর করে ‘বি প্লাস প্লাস’ পায়। কিন্তু একুশে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে দুশো পঁয়ষট্টি স্কোর করে ‘বি’ র্যাংঙ্ক পায়। আঠারো সালের নয় নভেম্বরে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীতে উপাচার্যর দায়িত্ব ভার গ্রহণ করার পর সব দিক থেকেই পিছিয়ে পড়ে। এব্যাপারে পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক এবং আশ্রমিকরা বর্তমান উপাচার্যর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
আরও পড়ুন-দায়িত্ব নিয়ে অনিত পাহাড়ে নবযুগ শুরু
প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের জায়গাকে শেষ করে দিলেন। আসলে রবীন্দ্রনাথের স্বপ্ন সম্পর্কে উপাচার্যর কোনও ধারণা নেই। উনি কেবল ব্যস্ত রাস্তা বন্ধ করতে। শিক্ষকদের সাসপেন্ড করতে। এগুলোই উনার কাজ। তাই ফল যে খারাপ হবে এটা একটা আন্দাজ ছিল। কিন্তু এতটা খারাপ হবে ভাবিনি। গরিমা ক্ষুন্ন করতে বিজ্ঞানী অধ্যাপকের গবেষণা আঁটকাতে উনি সচেষ্ট। উনার এ্যাটিটিউডই খারাপ। পঠনপাঠনের দিকটা শেষ করে দিয়েছেন। প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপিকা সবুজ কলি সেন বলেন, উপাচার্যর চার বছরে উচিৎ ছিল পদগুলো পূরণ করা। স্থায়ী কর্মসচিব নেই, পাঁচটি ডিরেক্টর নেই, ফিনান্স অফিসার, অডিট অফিসার এবং সিকিউরিটি অফিসার নেই। এগুলো এনআইআরএফ র্যাংঙ্কিয়ের প্রভাব ফেলে। এই প্রতিষ্ঠান গড়তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর গহনা এবং পুরীর বাড়ি সর্বস্ব দিয়েছিলেন। খুবই দূর্ভাগ্যজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, খুবই খারাপ লাগছে। উনি প্রতিষ্ঠানের গেরুয়াকরণ করতে চেয়েছেন।