প্রাথমিক স্কুল সকালে করার দাবি করলেন শিক্ষকরা, তীব্র দাবদাহে কাহিল উত্তর

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে উত্তরের বিভিন্ন জেলা। লোকজন কাজেকর্মে রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বেশি কষ্টে প্রাথমিকের পড়ুয়ারা

Must read

ব্যুরো রিপোর্ট : প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে উত্তরের বিভিন্ন জেলা। লোকজন কাজেকর্মে রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বেশি কষ্টে প্রাথমিকের পড়ুয়ারা। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মর্নিং শিফট চালুর দাবি তুললেন কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর ও শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। তাঁরা আলাদা আলাদা ভাবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে আবেদন জানিয়েছেন। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) কানাইলাল দে-র কাছে এই দাবি জানান। কয়েকদিন থেকে কোচবিহারে পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, ছাড়িয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। জেলা সভাপতি সুব্রত নাহা বলেন, ‘‘ডিআই সাহেব সরকারের নজরে আনবেন।’’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কানাইলাল দে বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অনুমতি পেলে উদ্যোগ নেব।’’

আরও পড়ুন-দায়িত্ব নিয়ে অনিত পাহাড়ে নবযুগ শুরু

গত দশদিনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তাপমাত্রা পৌঁছল রেকর্ডে। ডান-বাম শিক্ষক সংগঠনের অভিমত স্কুল চলুক সকালে। দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি পেরিয়ে যায় এবং শুক্রবার দুপুরে রেকর্ড ৩৬.৫ ডিগ্রিতে। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাখাও মর্নিং সেশনের দাবি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন-রাজ্যে কালাজ্বরের আতঙ্ক, রোগ নির্মূলে আক্রান্তদের পাকাবাড়ি ও শৌচালয়

অতিরিক্ত গরমে শিলিগুড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি পেরিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট। দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী তুলসী প্রামাণিক বলেন, এমন গরম পড়ে না। গরমের জন্য প্রচুর শিশু ও বৃদ্ধ জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। চিন্তিত অভিভাবকেরা চাইছেন, স্কুল খুব সকালে চালু হোক। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সোমবার বৃষ্টি হতে পারে।

Latest article