সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ছাত্ররা পরীক্ষা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে, নজিরবিহীন এমন ঘটনাটি ঘটল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনলাইন-অফলাইন পরীক্ষা নিয়ে মতানৈক্যে এগারোটা বিভাগের বেশ কিছু বিষয়ে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারেননি পরীক্ষার্থীরা, যাঁদের অনেকেই বন্যাকবলিত এলাকার। জানালেন, অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সোমনাথ সৌ। সোমবার একদল ছাত্রছাত্রী পিছনের বেড়া টপকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে হাজির হন পরীক্ষার দাবি নিয়ে। কারণ পরীক্ষা না হলে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যত্র আবেদন করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন-বৃষ্টিধারায় জলস্তর রক্ষা মহানগরীর ভূগর্ভে
সংশ্লিষ্ট দফতর তালাবন্ধ থাকায় তাঁরা ই-মেলে দাবিসনদ পেশ করেন। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা জানান, কুড়ি দিন অতিক্রান্ত। কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই। দ্রুত পরীক্ষার দিন ঘোষণা না করলে ক্যাম্পাসে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ছাত্রছাত্রীরাই আলোচনা করে চলতি বছরের একুশে জুন পরীক্ষার দিন ধার্য করে। তাদের মধ্যে কিছু অংশ পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহানুভূতিশীল। পরিস্থিতি অনুকূল হলেই বিভিন্ন ভবনের যে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেয়নি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন-বিজেপি সভাপতির মন্তব্যে ক্ষোভ মাড়োয়ারি সমাজের
সোমবার সমস্ত শিক্ষককে নিয়ে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বৈঠক ডাকেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর কার্যকালেই রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানের অধোগমন চলছে। এনআইআরএফ র্যাঙ্কে নেমে গিয়েছে ৯৮-এ। এ নিয়ে বৈঠকে উপাচার্যের সাফাই, ‘আমরা খুব একটা পিছোইনি, র্যাঙ্কে সামান্য এক দশমিক দুই মতো। কিন্তু অন্যরা এগিয়েছে। খারাপ র্যাঙ্কের জন্য সংগীতভবনে পিএইচডি শিক্ষক না থাকা ইত্যাদিকে কারণ হিসেবে বলেন। কলাভবন, প্লেসমেন্ট না হওয়াকেও দায়ী করেন। হঠাৎ ডাকা বৈঠকে উপাচার্য সশরীর ছিলেন না। বাংলো থেকে ভার্চুয়াল মোডে বক্তব্য পেশ করেন। খারাপ ফল নিয়ে অধ্যাপক কৌশিক ভট্টাচার্য ও অন্যরা সরাসরি উপাচার্যের দিকেই আঙুল তোলেন।