প্রতিবেদন : উপরাষ্ট্রপতি পদে কংগ্রেস সহ বিরোধী জোটের প্রার্থী হয়েছেন মার্গারেট আলভা। এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের প্রস্তাবমতো প্রবীণ নেত্রী মার্গারেট আলভাকে উপরাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন করছে কংগ্রেস। আর এবার সেই আলভারই লেখা বইতে কংগ্রেসের একাংশ সম্পর্কে বিস্ফোরক বিবরণ সামনে আসার পর রাজনৈতিক মহলের অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, আলভা কি আদৌ কংগ্রেসেরই সব ভোট পাবেন? বিশেষত খোদ সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ‘শীতলতা’ কি তাঁর ভোটপ্রাপ্তির অন্তরায় হবে? আর তাঁর বইতে কংগ্রেস জমানা সম্পর্কে যে বক্তব্য রয়েছে তার পর আলভার প্রার্থীপদ নিয়ে কংগ্রেসেরই একাংশ চূড়ান্ত অস্বস্তিতে।
আরও পড়ুন-হরিয়ানায় জঙ্গলরাজ, অবৈধ পাথর পাচার আটকানোয় ডিএসপিকে পিষে দিল ডাম্পার
উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার পরই প্রাক্তন সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও একাধিক রাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করা মার্গারেট আলভার স্মৃতিকথা ‘কারেজ অ্যান্ড কমিটমেন্ট’ এখন আতসকাচের তলায়। ২০১৬ সালে একটি টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলকে তাঁর বই সম্পর্কে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন আলভা। সেখানেই সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সম্পর্কে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন তিনি। আলভা বলেছিলেন, সোনিয়া গান্ধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও কেউ কাউকে বিশ্বাস করতেন না। তাঁরা একে অপরকে সন্দেহের চোখে দেখতেন। বোফর্স মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরসিমা রাও সরকার।
আরও পড়ুন-অগ্নিবীর নাকি জাতিবীর, কী চায় মোদি সরকার?
বোফর্স মামলার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পর থেকেই সোনিয়া ও নরসিমার মধ্যে তিক্ততা আরও বাড়ে। এমনকী, সোনিয়া একসময় বলেছিলেন, নরসিমা আমাকে জেলে পাঠাতে চায়। আলভার বিশ্লেষণ, সোনিয়া গান্ধী স্বেচ্ছাচারী কায়দায় দল পরিচালনা করতেন। আলভা জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, তিনি মন্ত্রিসভায় তাঁকে দেখতে চান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি। কোনওরকম সম্মতি না নিয়ে হঠাৎই তাঁকে রাজ্যপাল করে দেওয়া হয়। আলভা বলেছেন, আশির দশকে ভারতের অতি পুরনো প্যাটন ট্যাঙ্ক বিক্রি করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। এটা করা হয়েছিল সঞ্জয় গান্ধী এবং তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিপিএন সিংয়ের মতে। জরুরি অবস্থা জারি নিয়েও ওই সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন আলভা।
আরও পড়ুন-নৌকা ডুবে মৃত ২২
আলভা অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর ছেলে নিভেদিথকে ইচ্ছাকৃতভাবে টিকিট দেওয়া হয়নি। আলভা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ওই বছর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছিল। যার জেরে দলকে পরাজিত হতে হয়। এমনকী, তাঁকেও এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।