ঔদ্ধত্যের চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি ও তাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাই কোর্ট সম্পর্কেও অপমানজনক-কুরুচিকর মন্তব্য করতে ছাড়ছেন না তিনি। নিজেকে সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতা বলে উচ্চ আদালতকেও ছোট করছেন! এই অভিযোগে এবার বিজেপি (BJP) বিধায়কের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এই বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারির কাছে চিঠি পাঠালেন সদস্যরা।
২১ জুলাই বিজেপির সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। অনুমতি চেয়ে কলকাতা আদালত রিট পিটিশন দাখিল করেন বিজেপির হাওড়া জেলা সভাপতি। তবে, সেই সভার অনুমতি ২০ জুলাই এই আবদনের শুনানির পর শর্তসাপেক্ষে সভার অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য (Mousumi Bhattacharya)। আর তারপরই উচ্চ আদালত সম্পর্কে চূড়ান্ত কুরুচিপূর্ণ, অবমাননাকর মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “রাজ্যে আর কোথাও কেউ ওইদিন সভা করতে পারবে না এই প্রথম নজির তৈরি করা হল এবং কার্যত হাই কোর্টকে দিয়ে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলি সভা করার পক্ষে নয়, সভা করার বিপক্ষে। কিন্তু বিজেপি বিশ্বের সর্ববৃহৎ পার্টি. ১৮ টি রাজ্য চালায় দেশ চালায় তাই বিজেপির সভার অনুমতি মহামান্য উচ্চ আদালত দিল না সেই ঝুঁকিটা হয়তো উচ্চ আদালত নেননি। অশ্বত্থমা হত ইতি গজ। এটাই হল আসল উদ্দেশ্য।…”
আরও পড়ুন: শিশিরের সাংসদপদ শুনানি ২৮ জুলাই
এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে আদালতের ন্যায়নিষ্ঠার প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। আদালত অবমাননাই নয়, ঔদ্ধত্যের প্রকাশ বলে বলে মত বার অ্যাসোসিয়ানের।
এরপরে শুভেন্দুর বিবৃতির অংশ তুলে চিঠিতে বলা হয়, আদালত বিজেপির প্রতি সংবেদনশীল কারণ এটি বিজেপি “সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল?” এবং “দেশ চালায়।” শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে হাই কোর্ট বিজেপিকে “ভয়” পায় এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আদেশ দেওয়ার “ঝুঁকি” নেবে না। বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য জনমানসে হাই কোর্টের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলেও মন্তব্য করছে। এই ধরনের বিবৃতি দিয়ে, শুভেন্দু অধিকারী শুধুমাত্র বিজেপির চিন্তাধারাই প্রকাশ করেননি, জনসাধারণের কাছে আদালতের কর্তৃত্বকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। এই কারণেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের। তাঁদের মতে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, এই ধরনের লোকেরা নিজেদের আইনের উর্ধ্বে মনে করবেন। বিচার ব্যবস্থাকে আরও উপহাস করার চেষ্টা করবেন। অবিলম্বে দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা কলকাতা হাই কোর্টের মর্যাদা রক্ষায় সম্মেলিত পদক্ষেপের আবেদন করা হয়েছে চিঠিতে।